চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কোনো ‘রাজনীতি’ ছাড়াই পিছিয়ে গেল এশিয়া কাপ

উত্তেজনা জমাট হওয়ার আগেই পরিষ্কার হয়ে গেল বিষয়টা। ভারত-পাকিস্তান বোর্ড কর্তাদের টেবিল চাপড়ানো বাড়ার আগে পাকিস্তান জানিয়ে দিল কোনো ‘রাজনীতি’ ছাড়াই পিছিয়ে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। সেটির খানিক বাদে টুর্নামেন্টের অভিভাবক এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ২০২০ সালের এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টি পেছানো হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত।

মহামারি পরিস্থিতিতে পেছানো অবধারিতই ছিল এশিয়া কাপ। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে জল ঘোলা হতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে নিজ মাটিতে ছয় জাতির টি-টুয়েন্টি আসরটি আয়োজনে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল পিসিবি। ভারতের আপত্তি থাকায় নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম প্রস্তাব করা হয়।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

এর মাঝে করোনার কারণে বৈশ্বিক লকডাউনে এশিয়া কাপের ভাগ্য ঝুলে যায়। সেপ্টেম্বরে যে এশিয়া কাপ হচ্ছে না বুধবার স্পোর্টস টক নামের এক ইনস্টাগ্রাম লাইভে কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে দেন বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি। এসিসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই বলে দেন, ‘সেপ্টেম্বরে যে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা সেটা হচ্ছে না।’

পাকিস্তানের দিক থেকে শুরুতে সৌরভের কথা ভিত্তিহীন ও এখতিয়ারের বাইরে বলা হয়। পরে পিসিবি প্রধান এহসান মানি নিশ্চিত করেন ২০২০ সালে এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টি হচ্ছে না। টুর্নামেন্ট বাতিলের পেছনে কোনো রাজনীতি করা হয়নি বলেও জানান তিনি। কেবলমাত্র ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আপাতত টুর্নামেন্ট পেছানো হয়েছে বলে জানান।

পিসিবি থেকে প্রথমে সৌরভের কথার প্রতিবাদ হলেও এহসান মানি দ্রুতই জল ঠাণ্ডা করতে এগিয়ে আসেন। স্বীকার করে নেন ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকা পরিস্থিতির মাঝে এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয়, ‘আগামী বছর এশিয়া কাপ আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে। এই বছর আয়োজন করা হবে ভীষণ বিপজ্জনক। শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের চেষ্টা চলছিল, কারণ সাউথ এশিয়ার মধ্যে তারাই সবচেয়ে কম করোনা আক্রান্ত।’

আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিতের ঘোষণা আসার কথা দু-একদিনের মাঝেই। এশিয়া কাপ পেছালে ভারতের জন্য চলতি বছরের ঝুলে থাকা আইপিএল আয়োজনের রাস্তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। আলোচনা-সমালোচনা সেটা নিয়েও কম নয়। ক্রিকেটে রাজনীতির খেল জমল বলে কথা শোনাচ্ছিলেন অনেকে।

যদিও এশিয়া কাপ পেছানোর জন্য কোনো রাজনীতি হয়নি বলেই মত দিলেন পিসিবি প্রধান, ‘এখানে কোনো রাজনীতি নেই। এ কেবল ক্রিকেটকে রক্ষার স্বার্থেই, আরকিছু নয়।’

এহসান মানির বক্তব্যের পরপরই এসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে চলতি বছর টুর্নামেন্টটি আর হচ্ছে না। আগামী বছরের জুনে আয়োজন করা যায় কিনা সেই সম্ভাব্যতার কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

‘দায়িত্বশীল ভাবে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার অগ্রাধিকার শর্তে এসিসি ও সদস্য বোর্ডগুলো আগামী ২০২১ সালে এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এসিসি বর্তমানে ২০২১ সালের জুন মাসে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে।’

সঙ্গে পরের দুটি আসর আয়োজনের দায়িত্ব শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি করার কথাও বলা হয়েছে এসিসি’র বিবৃতিতে, ‘২০২০ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। সেই দায়িত্ব শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে অদলবদল করা হয়েছে। ২০২১ এশিয়া কাপ আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা, ২০২২ সালে দায়িত্বে থাকবে পাকিস্তান।’