প্রথম দফায় প্রকাশিত রাজাকার তালিকায় যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম এসেছে, তাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন: কোনো মুক্তিযাদ্ধাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হবে না। এটা হতে পারে না। এ তালিকায় যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম এসেছে তাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের চলতি কমিটির শেষ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে ‘রাজাকার তালিকা’ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন: একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম যখন রাজাকার লিস্টে থাকে তখন তার কতোটা খারাপ লাগতে পারে একবার চিন্তা করে দেখুন। আমি তাদের এতটুকু বলতে পারি তাদের নাম কোনোভাবেই রাজাকার লিস্টে থাকতে পারে না। এটা তারা নিশ্চিত থাকুক। ইতোমধ্যে এটা তাদের বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে দেখবে। রাজাকার-আলবদর-আল শামস্ এগুলো কিন্তু গেজেটেড। ৭১ এর পত্রিকাও যদি আপনারা দেখেন, সেখানে দেখবেন পত্রিকাগুলোতেও এগুলো ছাপা আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: এটা মোটেও রাজাকারের তালিকা না। এখানে কিছু সম্মিলিত তালিকা রয়েছে। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কেও বলেছি এভাবে সমস্ত ফাইল তুলে দিয়ে দেয়াও ঠিক হয়নি। খুব একটা খারাপ কাজ হয়ে গেছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম সেখানে ঢুকে গেছে। পাকিস্তান আমলে করা তালিকা এবং পরে করা তালিকা নিয়ে একটা গোলমাল সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের ওই তালিকা ১৫ আগস্টের পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা ব্যবহার করেছে। এটা হয়তো অনেকে জানে না।
পাকিস্তান আমলের ওই তালিকা ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও প্রধানমন্ত্রী এসময় জানান। বলেন: আমি এগুলো সব বের করে ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারণে হয়তো হয়নি। ওই সময় যারাই মুক্তিযুদ্ধে গেছেন, তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ১৫ আগস্টের পর মামলা দিয়েছে। ওই তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভুলে পরবর্তী তালিকার সঙ্গে চলে এসেছে। পাকিস্তান আমলের সকল আইন আমরা বাদ দিয়ে আবার নতুনভাবে করে দিচ্ছি।