ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। একই দাবিতে ছাত্রলীগ আন্দোলন করলেও মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে রাজু ভাস্কর্যের পাশের যাত্রী ছাউনির পাশে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হামলার ঘটনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের চার যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মো. আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার ও তুহিন ফারাবী আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আহতদেরকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারটায় ‘ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরীক্ষা বাতিলসহ তিন দফা দাবি পেশ করেন তারা।
হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সমাবেশ শেষে আমরা ফিরছিলাম, ছাত্রলীগের প্রায় ১০-১২ জন নেতাকর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং সবাইকে বেধড়ক মারধর করে।
হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামুন বলেন, ঠিক কি কারণে আমাদের ওপর হামলা, আমরা সেটা জানতে চাই। কারণ ছাত্রলীগ আর আমরা একই দাবিতে আজকে আন্দোলন করছিলাম। এই হামলার মাধ্যমে ছাত্রলীগ ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছে সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা এ হামলার বিচার চাই।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, আমি মারামারির বিষয়ে অবগত নই। খোঁজ নিচ্ছি। অভিযুক্ত প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগ উঠেছে, এই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন । তারা হলেন- বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তুনান, জহুরুল হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, একই শাখার উপ-কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান হোসেন ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফির নেতৃত্বে প্রায় ১০-১২জন নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।