সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারে দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। যার ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এতে দেশের মোট জনসংখ্যার বিশাল অংশ শিক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার কারণে শিক্ষিত তরুণ সমাজ যথাযথ কর্মসংস্থান পাচ্ছে না।
সংবিধানের কথা উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সংবিধানের ১৯(১), ২৯(১), ২৯(২০) অনুচ্ছেদে চাকরির ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের বলা হয়েছে, কিন্তু তা যথাযথ মানা হচ্ছে না কোটা ব্যবস্থার কারণে।
এসময় তারা কোটা ব্যবস্থার শতকরা ৫৬ থেকে ১০ভাগে নামিয়ে আনার দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। অন্য দাবিগুলো হলো- কোটার বিপরীতে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ না দেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ এবং চাকরির নিয়োগ পরিক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক বার না রাখা।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ মুন্নাফ, মোছাঃ মোহানী, হালিম শেখ, হৃদয় খান, সায়েম প্রমুখ।
কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধনসহ নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচির তালিকায় আগামী ৪ মার্চ ফের মানববন্ধনের ঘোষণাও দিয়েছে।