হাথুরুসিংহে থাকছেন নাকি চলে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে অন্ধকারে বাংলাদেশ। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম চান বিষয়টি দ্রুত সুরাহা হোক।
‘যেটাই হবে, আশা করি, ভালোর জন্যই হবে। যত তাড়াতাড়ি সমাধান হয়, তত ভালো। বিপিএলের পর খুব দ্রুতই আমাদের সিরিজ আছে। যেটাই হোক, যেন খুব তাড়াতাড়ি মীমাংসা হয়।’ মিরপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে শোচনীয় হারের পর রাজশাহী কিংসের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোচ ইস্যুতে এসব কথা বলেন মুশফিক।
হেড কোচের পদ থেকে পদত্যাগের পর নিজের টু্ইটার প্রোফাইল থেকে বাংলাদেশের নাম মুছে ফেলেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। একবার বিসিবির ফোন ধরলেও ঠিকমতো কথা বলেননি। হঠাৎ কোচের এমন সিদ্ধান্তে ‘আহত’ হয়েছেন মুশফিক নিজেও, ‘সবশেষ সিদ্ধান্ত কী হয়েছে, এখনও বলতে পারছি না। আর সবার মতো আমিও শকড। কারণ শেষ সফরেও আমরা একসঙ্গে ছিলাম। এক সঙ্গে কাজ করেছি। জানি না কী কারণে হয়েছে। তবে সেটার দায়িত্বে বিসিবি আছে। এখন বিপিএল চলছে, অনেক বড় টুর্নামেন্ট। এর ভেতরে আমরা এখানেই মনোযোগ দিচ্ছি। বাইরের যা কিছু আছে, বিসিবি কাজ করছে। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে ভালো। না হলে সেটা বিসিবি ও কোচের ব্যাপার।’
সাউথ আফ্রিকা সিরিজের মাঝপথেই বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান হাথুরুসিংহে। সংবাদ মাধ্যম সেটি জানতে পারে গত বৃহস্পতিবার। মিডিয়ার মাধ্যমেই জেনেছেন দেশের ক্রিকেটাররা। দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের উপর ক্ষোভ থেকেই সরে যাচ্ছেন কোচ এমন কথা শোনা যাচ্ছে ক্রিকেটপাড়ায়।
এ ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। উনি যদি মনে করেন কোনো সুনির্দিষ্ট ক্রিকেটার বা দলের কারও ওপর খুশি নন, তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার। সত্যি বলতে আমরা জানি না উনি কেন এটা করেছেন। উনি নিজেও কোনো বিবৃতি দেননি কারণ জানিয়ে। উনি না আসা পর্যন্ত আমাদের কাছেও পরিষ্কার নয়, আপনাদের কাছেও নয়। উনি আসলে বোর্ডের সঙ্গে বসে যেটা ঠিক করবেন, সেটাই হয়তো হবে।’