ইপিএলে গত বুধবার ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ৭১ মিনিটের মাথায় মাঠ থেকে তুলে নেয়ায় কোচ রালফ র্যাঙ্গনিকের উপর রাগ উগড়ে দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেসময় রোনালদোকে বদলি করে হ্যারি মাগুইরেকে নামান র্যাঙ্গনিক।
রেড ডেভিল কোচ যখন রোনালদোকে সাইডবেঞ্চে ডেকে নেন, ফেরার সময় পর্তুগিজ তারকা চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন। ডাগআউট পৌঁছে র্যাঙ্গনিকের মুখের উপরই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন সিআর সেভেন, বেঞ্চে বসার পরও তাকে বিড়বিড় করতে দেখা যায়।
রোনালদোর সেদিনের রাগের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে মুখ খুলেছেন র্যাঙ্গনিক। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সিআর সেভেনের বদলি নামানো নিয়ে তার এমন প্রতিক্রিয়া কারোর উপকারে আসে না।
তবে কোচের কর্তৃত্বকে রোনালদো চ্যালেঞ্জ করেননি বলেই ম্যানইউ বস মনে করেন।
‘অবশ্যই আমি মনে করি যে টিভি ক্যামেরার সামনে কেউ এত বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ুক তা কোনো কোচই চাইবে না। আমি মনে করি না এগুলো তার নিজের এবং সতীর্থদের কারোর উপকারে আসবে। দিন শেষে এটি আবেগের খেলা। খেলোয়াড়রা আবেগপ্রবণ হতেই পারে। সর্বোপরি বিষয়টিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে নেই নাই। আমাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কিছুই আমি দেখিনি।’
র্যাঙ্গনিক জানান, রোনালদো তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কেন তিনি অপেক্ষাকৃত একজন তরুণ খেলোয়াড়কে তার পরিবর্তে মাঠে নামাচ্ছেন?
এ বিষয়টি খোলাসা করে সংবাদ সম্মেলনে রেড ডেভিলস কোচ তার অবস্থান পরিষ্কার করে জানান, রোনালদো কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার সমস্যা নেই। তবে তিনি যদি মনে করেন যে এটি দলের ভালোর জন্য তাহলে পর্তুগিজ মহাতারকার বদলি তিনি মাঠে নামাবেন।
‘তিনি (রোনালদো) তার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে আরেকজনকে নামানোয় অখুশি হয়ে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ফেলেছেন। তবে এমনটি প্রথমবার ঘটেনি। আপনি যদি দেখে থাকেন তাহলে স্যার অ্যালেক্স (ফার্গুসন) কিংবা অন্য কোচ যেমন (মাউরিজিও) সারি তার বদলি খেলোয়াড় নামিয়েছিল।
‘অতীতেও তার প্রতিক্রিয়া এমনই ছিল যা মাঠে থাকার ব্যাপারে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। নিজের ইচ্ছার বিষয়ে কোচের সঙ্গে কিছুই করার নেই। এর জন্য তাকে আমি দোষ দেই না।’