চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কেমন হবে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচের উইকেট?

টন্টন থেকে: অনুশীলন শেষ করে বাংলাদেশ দল টিম হোটেলে ফিরে যেতেই চকচকে রোদ উঠল আকাশে। খানিকপরই দৃশ্যমান হল সমারসেট কাউন্টি ক্লাব মাঠের বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের উইকেট। এখানকার উইকেট ব্যাটিং সয়হাক হলেও সোমবারের ম্যাচের ২২ গজে সবুজ ঘাসের উপস্থিতি বলছে বোলারদের জন্যও থাকতে পারে সুবিধা।

বিশ্বকাপ ছাড়া আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচের আয়োজক হতে পারেনি টন্টনের এই মাঠ। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে একটি, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ও চলতি আসরে দুটি করে ম্যাচ হয়েছে এখানে। পাঁচটির মধ্যে তিনটিতেই আগে ব্যাট করা দল তুলেছে তিনশ’র বেশি রান।

পরিসংখ্যান বিচারে এটি ব্যাটিং স্বর্গ হলেও টানা বৃষ্টির প্রভাব ও ঘাসের উপস্থিতি বোলারদের সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবালও মনে করছেন তেমনটা।

‘আমরা কখনো খেলিনি এ মাঠে। তবে সবসময় শুনে আসছি ব্যাটসম্যানদের জন্য প্যারাডাইস এটা। কিন্তু এখন উইকেটটা ওরা একটু ভিন্নভাবে বানাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে যেমন থাকে তেমন না। শেষ ম্যাচগুলোও যদি দেখেন উইকেট বোলারদের একটু সাহায্য করেছে। আর আবহাওয়া খুব একটা অনুকূলে না। তবে যে উইকেটই হোক না কেন আমাদের ভালো খেলতে হবে।’

আয়তনে অন্যান্য মাঠের চেয়ে ছোট হলেও সমারসেটের এই ভেন্যুতে উইকেট মোট ৩০টি। বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচের উইকেট মাঠের মাঝামাঝি। তারপরও ভেন্যুর স্কয়ার অব দ্য উইকেট ছোটই থেকে যাবে। তাতে হুমকি হয়ে উঠতে পারেন ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলের মতো বিগ হিটাররা। বাংলাদেশ দলে অতটা বিধ্বংসী কেউ না থাকলেও যতটুকু দরকার তা আছে বলে মনে করেন তামিম।

‘আমার কাছে যেটা মনে হয় যে অনেক সময় যত ছোট মাঠই বড় হয়ে যায়, আবার অনেক ছোট মাঠই বড় হয়ে যায় ফর্মে না থাকলে। এটা নিয়ে আসলে ভাবার কিছু নেই। আমরা জানি ওরা যখন ছয় মারে তখন যেকোনো মাঠেই ছয় হয়ে যায়। মাঠ ছোট হোক আর বড় হোক। এটা না ভেবে আমাদের যে পরিকল্পনা দেয়া হবে ওটাতে আমরা ফোকাস রাখলে আমাদের জন্য ভালো হবে। এই জিনিসগুলো তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। যে জিনিসটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে সেই জিনিস নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত।’

‘ব্যাটসম্যান হিসেবে ওইরকম পরিস্থিতি যদি আসে আমরাও প্রস্তুত। হয়তো আমাদের দলে তেমন বড় কোনো বিগহিটার নেই। যতটুকু দরকার অতটুকু আছে।’-বলেন তামিম।