এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে নানা নাটকীয়তা দেখল থমাস টুখেলের দল। ইংলিশ ফুটবলের তৃতীয় স্তরের ক্লাব প্লাইমাউথ আর্গিলের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে জয় তুললেও ছিল টাইব্রেকারে গড়ানোর শঙ্কা। শেষ সময়ে পেনাল্টি ঠেকিয়ে সেই সম্ভাবনা রুখেছেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা।
ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ফুটবলের অন্যতম প্রাচীন প্রতিযোগিতায় প্লাইমাউথকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি। পিছিয়ে পরেও এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে ছিল টানটান উত্তেজনা। স্নায়ুচাপ ধরে রেখে অবশ্য শেষটা জয়ে রাঙিয়েছেন ব্লুজরা।
বল দখল, আক্রমণ আর গোলে শটে ফেবারিটের মতোই খেলছিল চেলসি। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন শুরুর অর্ধের শেষ সময় পর্যন্ত। ৭১ শতাংশ বল দখলে রাখা ব্লুজরা গোলে শট নিয়েছেন ২৩টি, লক্ষ্যে ছিল ১১টি শট। কিন্তু দ্বিতীয়বার জালের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০৬ মিনিট পর্যন্ত। প্রতিপক্ষ ৮টি শটের ৫টি রেখেছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিট থেকেই আক্রমণে ওঠে চেলসি। কিন্তু আট মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে টুখেলের শিষ্যরা। ম্যাকুলেই গিলেসপির গোলে পিছিয়ে পরার পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিক দল।
দুই মিনিট পর কোভাচিচের শট গোলবারে লেগে ফিরে আসে, ৩০ মিনিটে জিয়েখের শটও ফেরে গোলপোস্টের বাধায়। ৩৭ মিনিটে কোভিচিচের শট বারের উপর দিয়ে গেলে ব্লুজদের হতাশা বাড়ে। অবশেষে মাউন্টের বাড়ানো বলে ৪১ মিনিটে সমতায় ফেরায় আজপিলিকুয়েতা।
প্রথমার্ধে সমতায় ফেরার পর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণেও জালের দেখা পায়নি কোনো দল। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় গড়ায় ম্যাচ। বর্ধিত সময়ের প্রথমার্ধে চেলসিকে এগিয়ে দেয় মার্কোস আলোনসো। প্লাইমাউথের রায়ান হার্ডি ফাউলের শিকার হলে সবকিছু ভেস্তে যাচ্ছিল।
প্রতিপক্ষের জোড়ালো পেনাল্টি দাবি নাকোজ করতে পারেননি রেফারি। ভিআরের সাহায্য নিয়ে স্পট কিক নিশ্চিত করলেও সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয় থিয়েটার অব গ্রিনসরা। স্কটিশ স্টাইকার হার্ডির নেয়া বাম দিকের শট দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় ঝাপিয়ে লিড ধরে রাখেন কেপা আরিজাবালাগা। ম্যাচের ফল নির্ধারণ করতে টাইব্রেকারের প্রয়োজন হয় না কেপার কল্যাণে।