২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল ছিলো বিএনপির জয়জয়কার। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন তারেক রহমান হয়ে উঠেছিলেন মুকুটহীন সম্রাট। তারেক এর অনুগামীরা ধরাকে সরা জ্ঞান করেছিলো তখন। বহুল আলোচিত ’হাওয়া ভবন’ থেকে তারেক রহমান যাদের নিয়ে রাজত্ব করতেন তাদের অন্যতম একজন ছিলেন আলী আসগর লবি। বিএনপিতে লবির প্রভাব ছিলো অভূতপূর্ব। বিএনপির রাজনীতির আলোচিত এই ব্যক্তি অবশেষে ছেড়ে দিলেন নিজ দল।
লবি একসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন। বেগম খালেদা জিয়ার খুলনা-২ আসনটিও লবিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আলোচিত এই নেতা কেন বিএনপি ছাড়লেন? চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন নানাকথা।
৭০ বছর বয়সী লবি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
লবি বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেছি। আমি তো গত ১০ বছর ধরে কোনো কার্যক্রমে নাই। আপনি কি আমাকে দেখেছেন কোথাও? দেখেননি। আমি অসুস্থতার কারণে কোথাও যেতে পারি না।
২৫ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলেও জানান লবি।
তারেক রহমানের সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্নে লবি বলেন, না ভাই। কাছের মানুষ বলে কোনো কথা নাই। কেউ কারো কাছের মানুষ না। নিজের শরীর আগে বাঁচাবে, তারপরই তো মানুষ কাছের হবে। নিজে বাঁচতে না পারলে কিসের কী? আর কাছের মানুষ হলে দেখছেন না নির্বাচনসহ কোথাও আমি নেই। আসলেই আমার শরীর খুবই খারাপ।
দলের দুর্দিনে এই পদত্যাগকে দল কীভাবে নিচ্ছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তো সুদিনেও ছিলাম না। ২০০১-২০০৬ ছিলাম। এরপর থেকে তো আমি নাই। সেই জন্য দুর্দিন আর সুদিন নিয়ে কী বলবো? তবু আমি খুব কৃতজ্ঞ ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি। তিনি আমাকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও এমপি বানিয়েছিলেন। নিজের আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন।
অন্য কোনো দলে যাবেন নাকি রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না না। আমাকে কে দলে নেবে? আমি কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে থাকছি না।