চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কেন জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে হোয়াটস অ্যাপ?

সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ জানা এবং তা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে হোয়াটস অ্যাপ। তবে বিভিন্ন দেশের মধ্যে এই ম্যাসেজিং অ্যাপের ব্যবহারে ব্যাপক পার্থক্যও রয়েছে। রয়টার্স ইন্সটিটিউটের সাম্প্রতিক গবেষণা ‘ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট’এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিসি বলছে, ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ’র এই অর্জন গণমাধ্যমে তার অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের প্রভাবও সন্দেহাতীতভাবেই বাড়াচ্ছে।

রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজম  ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়াসহ ৩৪টি দেশের উপর এই গবেষণা চালায়। তাইওয়ান এবং হংকংও ছিলো এই গবেষণার আওতায়। বিবিসি এবং গুগলসহ অন্যান্যদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহে সর্বমোট ৭১ হাজার ৮০৫ জনকে প্রশ্ন করা হয়।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফেসবুক। সংবাদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ও ম্যাসেজিং সার্ভিস হিসেবে ফেসবুকই সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে জাপানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইউটিউব ও সাউথ কোরিয়ায় কাকাও টক।

মালয়েশিয়ায় জরিপে অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশেরও বেশি জানিয়েছেন তারা সপ্তাহে অন্তত একবার সংবাদের জন্য হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা মাত্র ৩ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে তা ৫ শতাংশ।

 

ব্রেক্সিট বিতর্ক দেশটির গণমাধ্যমকে ঘিরে জনমনে অবিশ্বাস জন্ম দিয়েছে বলেও ‘ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট’ জানায়। গত বছরের ৫০ শতাংশ থেকে এবছর ৭ শতাংশ কম লোক জানিয়েছে তারা এই সংক্রান্ত সংবাদ বিশ্বাস করতে পারে।

তুলনামূলকভাবে সংবাদ শেয়ার এবং তা নিয়ে কথোপকোথন চালাতে প্রাইভেট ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপসগুলো, বিশেষ করে হোয়াটস অ্যাপের ব্যবহার ক্রমাগতই বাড়ছে বলে জানায় গবেষণাটি।

গবেষণা অনুযায়ী, ৩৬টি দেশের নয়টিতে সংবাদের জন্য সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তার দিক থেকে হোয়াটস অ্যাপ দ্বিতীয় স্থানে এবং আরও ৫টি দেশে তা তৃতীয় স্থানে।

হোয়াটস অ্যাপের এই উত্থানের পেছনে সম্ভাব্য কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এর গোপনীয়তা। এর মাধ্যমে পাঠানো বা প্রাপ্ত বার্তা প্রেরক ও গ্রহীতা ছাড়া আর কেউ দেখতে পায় না, যা পর্যবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করে।

হোয়াটস অ্যাপের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তুরস্কে, যেখানে ফেসবুকের মতো ওপেন নেটওয়ার্কে সরকারবিরোধী কোন মন্তব্য করা রীতিমতো বিপজ্জ্বনক। এমনটি জানান এই গবেষণা চালানো অন্যতম একজন নিক নিউম্যান।

এছাড়াও ল্যাটিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশসহ অন্য বেশ কয়েকটি দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো আনলিমিটেড ডাটা দিচ্ছে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে, যা এর ব্যবহার উৎসাহিত করছে। স্প্যানিশ ও চিলির মিডিয়াগুলোতেও সুবিধা পাচ্ছে এই অ্যাপটি। রেডিও স্ট্যাশনে শর্ট ভয়েস রেকর্ডিং পাঠাতে এবং স্থানীয় নিউজ সাইট তাদের পেজের নিচে নিউজ শেয়ারিংয়ের জন্য হোয়াটস অ্যাপ’র বাটন যোগ করেছে। যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।