চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কেন এমন করুণ পরিণতি ‘পাকিজা’ খ্যাত গীতা কাপুরের?

মৃত্যুর খবর শুনেও আসেনি ছেলে

এক সময় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পেয়েছিলেন বিপুল জনপ্রিয়তা। কিন্তু বয়স হতেই শিকার হলেন করুণ এক বাস্তবতার। হ্যাঁ, বলছি এমনি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর কথা যার নাম গীতা কাপুর।

গত শনিবার মারা যান ‘পাকিজা’ খ্যাত অভিনেত্রী গীতা কাপুর। জীবনের শেষ দিনগুলোতে পরিবার ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে কাটিয়েছেন ৫৮ বছর বয়সে মারা যাওয়া এ অভিনেত্রী।

গীতা কাপুরের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেখতে আসেননি তার ছেলে। মৃত্যুর পর ৩০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ছেলে না আসায় মেয়েই করেন তার শেষকৃত্য।

ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত বৃদ্ধাশ্রমে গত এক বছর ধরে সন্তানদের একনজর দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অভিনেত্রী। অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ছেলে রাজা কাপুরের মুখটি একবারের জন্য দেখবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের জন্য তো নয়ই, তার শেষকৃত্যেও পৌঁছাল না পাষণ্ড এই ছেলে।

মায়ের প্রতি প্রায় একইরকম উদাসীন মেয়ে আরাধ্যাও। তবে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মানবিকতা দেখিয়ে মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন গীতা কাপুরের মেয়ে।

নায়িকার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে অশোক পণ্ডিত বলেন, ‘রোববার রাতে মেয়ে আরাধ্য তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। মায়ের কাজে তিনি কারও উপস্থিতি চাননি। তাই তেমন কেউই হাজির ছিলেন না। এদিকে তার ছেলের কোনো খোঁজ নেই।’

গত বছরের মে মাসের এক দুপুরে গীতা কাপুরকে অসুস্থ অবস্থায় মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান তার ছেলে রাজা। এরপর এটিএম কার্ড থেকে টাকা তুলে আনার কথা বলে মাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় ছেলে।

পরে সেখান থেকে গীতাকে উদ্ধার করেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা অশোক পণ্ডিত। মৃত্যুর আগে সেই খ্যাতনামা অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ছেলে রাজা প্রায়ই তাকে মারতেন। দিনের পর দিন তাকে অনাহারে রাখতেন। চারদিন পর একবার তাকে খেতে দেওয়া হত।

সত্তরের দশকে ভারতের নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন গীতা কাপুর। এক সময় বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি।

‘পাকিজা’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে। তার নামের পাশে রয়েছে বলিউডের প্রায় শ’খানেক সিনেমা।