পুলিশের গুলিতে দুই কৃষ্ণাঙ্গ নিহত এবং পাল্টা বিক্ষোভ থেকে গুলি করে পুলিশ হত্যার ঘটনায় উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছোট-বড় সব শহরে চলছে নজীরবিহীন বিক্ষোভ।
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ শিরোনামে শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলছে টানা ৫ দিন। এর মধ্যেই চলছে পুলিশি ধরপাকড়। ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট। ইট-পাটকেল, বোতল ছুড়ে এবং বাজি পুড়িয়ে জবাব দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরাও।
নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, মিনেসোটা, লুইজিয়ানা শহর থেকে কমপক্ষে ২’শ ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে মার্কিন পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চলমান বিক্ষোভে নেতৃত্ব থাকা কয়েকজন আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ এবং কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের প্রতি নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ নতুন নয়। কৃষ্ণাঙ্গদের নির্বিচারে-নির্দয়ভাবে নির্যাতন-হত্যা বন্ধে সাম্প্রতিক সময়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বর্ণবাদ বিরোধীরা। এর মধ্যেই ফিল্যান্ডো ক্যাস্টাইলকে মিনেসোটায় গুলি করে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ এবং অ্যাল্টন স্টারলিংকে হত্যা করা হয় লুইজিয়ানায়।
দুই কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার প্রতিবাদে গত ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে বর্ণবাদবিরোধী এক বিক্ষোভে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণে ৫ পুলিশ সদস্য নিহত হয়। আহত হয় আরও ১০জন। পুলিশের ওপর সেই হামলায় সন্দেহভাজন এক কৃষ্ণাঙ্গকে রোবট ব্যবহার করে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ।