কৃষি সাংবাদিকতা, কৃষিতে নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে উন্নয়ন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘কৃষি সাংবাদিকতা বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কৃষি সাংবাদিকতায় আগামীর পথও প্রশস্ত।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘অ্যাগ্রো ক্যারিয়ার এক্সপো-২০১৭’-এ ‘কৃষি সাংবাদিকতা’ বিষয়ে এক সেশনে শাইখ সিরাজ বক্তব্য রাখেন সদ্য স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, কৃষি বিশেষজ্ঞ এবং কৃষিবিদদের উপস্থিতিতে।
প্রযুক্তির ব্যাপক উত্তরণের এই সময়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি খাতে অপার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কৃষিতথ্য প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে ‘কৃষি সাংবাদিকতায়’ নতুন জাগরণ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। কৃষি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় তিনি তাদেরকে কৃষি উন্নয়নে মেধা-মনন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
‘শিল্পোদ্যক্তাদের বিনিয়োগেই আগামীর কৃষি সম্প্রসারিত হবে। এ কৃষি হবে প্রযুক্তির কৃষি। প্রযুক্তির বিকাশে কৃষি সাংবাদিকতা অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। আর এতে সম্ভাবনাও প্রচুর।’ বলেন শাইখ সিরাজ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের মুখে আজকের কৃষি খাতে বিভিন্ন পরিবর্তন ও নতুন উদ্ভাবন ঘটছে। এই বাস্তবতায় দেশের কৃষি জাগরণে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘কৃষি সাংবাদিকতা আগামীর কৃষির দ্বার উন্মোচিত করতে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। একজনের সাফল্য অন্যজনের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তথ্যই মানুষকে সমৃদ্ধ করে। কৃষক যত তথ্য পাবে, ততই সমৃদ্ধ হবে কৃষি।’
কৃষিতে আজ বানিজ্যিকীরণের সাথে সাথে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণে বৈচিত্র্য এসেছে। কৃষিপণ্যের সামগ্রিক বাজারজাতকরণে নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধতা এবং সম্ভাবনা সম্পর্কিত তথ্যগুলো কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে কৃষি সাংবাদিকতায় কাজের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শাইখ সিরাজ।
সেশন শেষে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।