ধানের ন্যায্য মূল পান না কৃষকরা, সময় মতো আসেন না কৃষি কর্মকর্তারাও, আর যারা পোল্ট্রি খামারি তারাও আছেন নানান সমস্যায়। কৃষকদের এমন সব ভোগান্তির কথা উঠে এসেছে মৌলভীবাজারে আয়োজিত কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট আলোচনায়।
চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় হৃদয়ে মাটি ও মানুষের আয়োজনে মহলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট। রিয়েল ইকোনমি কৃষিকে নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ কৃষির নানা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেন কৃষকদের সঙ্গে। বাজেটের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিলো তাদের কাছে।
উন্মুক্ত মাঠে প্রাণবন্ত আলোচনায় মন খুলে কথা বলেন কৃষকরা।
তারা বলেন, আমরা পুরো ধান পেয়ে যাবো কিন্তু তা বিক্রি করতে পারবো না। সার, বীজসহ সরকার যেগুলো দিতে চেয়েছে সেগুলো যেন ন্যায্য মূল্যে এবং সময় মতো দেন। আর বর্গা চাষীদের জন্য যে ঋণ দেওয়ার কথা সেগুলো আসলে বর্গা চাষীরা পায় কিনা তা আমরা জানি না।
উঠে আসে তাদের নানান সমস্যার কথা। কৃষকরা বলেন, এখন এমন অবস্থা যে, মাঝে মাঝে এ বস্তা মোটা ভুসি ১৫০০-১৬০০ টাকা হয়ে যায়। আর বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে কৃষি থেকে সরিয়ে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন সুবিধা পেতে সব সময়ই ঘুষ দিতে হচ্ছে।
বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে একথা জানিয়ে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের কাছ থেকে আশ্বাস এসেছে কৃষকদের সুপারিশগুলো যথাযথ স্থানে তুলে ধরার।
সাবেক চিফ হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ বলেন, আমাদের দেশে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমাদের মূল জিডিপির অর্জন সেটা কৃষির উপর নির্ভরশীল।
জাতীয় বাজেটে কৃষিখাতে আরো বেশি বরাদ্দের সুপারিশ করেছেন তৃণমূলের কৃষকরা।