উপমহাদেশের বরেণ্য অভিনেতা দিলীপ কুমার কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নিচ্ছেন। জানা গেছে, আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার সকাল থেকে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তার শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকেরা কোনো ভাবেই তা রোধ করতে পারছেন না।
মুম্বাইর লীলাবতি হাসপাতালে দিলীপ কুমারের চিকিৎসক জলিল পার্কার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তার দুটি কিডনি সম্পূর্ণ অকার্যকর। কোনো ভাবেই এর উন্নতি হচ্ছে না। আর তা খারাপের দিকেই যাচ্ছে।’
এদিকে আজ সকালে দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে পিটিআইকে জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী সায়রা বানু। তার কথায়, ‘এখন আগের চেয়ে দিলীপ কুমার অনেকটা সুস্থতা অনুভব করছেন। ডাক্তাররা তার সার্বক্ষণিক দেখভাল করছে এবং বলিউডের অনেকেই তার খোঁজ নিচ্ছেন।’
এর আগে গতকাল ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, দীলিপ কুমারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার দুটি কিডনি অকার্যকর। শরীরের অবস্থা এতটাই দুর্বল যে ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে এখনো আইসিইউতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তিনি। হাসপাতালে আছেন তার স্ত্রী বরেণ্য অভিনেত্রী সায়রা বানু।
কিডনির জটিলতা এবং পানি শুন্যতার কারণে গত ২ আগস্ট বুধবার দুপুর ১২টায় দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাকে মুম্বাইয়ে লীলাবতী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। সঙ্গে যোগ হয়েছে পানি শুন্যতা। তাই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল তার। হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে এবং তিনি ঝুঁকিমুক্ত। তবে তাকে আরও দুই দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
৯৪ বছর বয়সী বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার অনেকদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গত এপ্রিল মাসেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রচণ্ড জ্বর, বমি এবং ডান পা ফুলে যাওয়ার কারণে তখন হাসপাতালে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে।
দিলীপ কুমারের আসল নাম মোহাম্মাদ ইউসুফ খান। তিনি চলচ্চিত্রে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে বিচরণ করেছেন এবং অভিনয় করেছেন ৬০টি ছায়াছবিতে। ভারত সরকার ১৯৯১ সালে তাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি তার অবদান সমূহের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান তিনি। হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া।