টানা বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ফেনীর মুহুরী এবং সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ৭টি অংশে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে পরশুরাম ও ফুলগাজীর প্রায় ৫০টি গ্রাম। অবনতি হয়েছে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির।
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৯ উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে ৩০ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষেতে। বন্যা কবলিত এলাকার ঘর-বাড়ী ও সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে বানভাসী মানুষ।
এলাকাবাসীরা বলছে তাদের ঘর বাড়ি সব ভেসে গেছে। খাওয়া থাকা, পোশাক পর্যন্ত তাদের নেই। ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তারা তাকিয়ে আছে সরকারের সাহায্যের দিকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ফেনীতে। জেলার সিলোনিয়া নদীর সুবার বাজারের পাশে বেড়িবাঁধে ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে সুবার বাজারের একাংশ, উত্তর মনিপুর, পূর্ব সাহেবনগরসহ ১০টি গ্রাম।
বন্যার পানিতে ৫শ’রও বেশি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ১০ হাজার একর জমির আমন ফসল তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়েছে বহু মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানির কারণেই এই বন্যা।
এটি ফেনীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীতে পানি বেড়ে জেলার অন্তত ৫০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লবিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক’শ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত ও মাছের জলাশয়।
দুদিনের অবিরাম বর্ষণে রংপুরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলার গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলের শতাধিক গ্রামের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।