সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ কুড়িগ্রামে পৌঁছেছে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী জন্মস্থান কুড়িগ্রামের
মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।
বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়। সরকারি কলেজ মাঠে নামাজে জানাযা শেষে
এই কলেজ চত্বরেই লেখককে দাফন করা হবে। কলেজ মাঠের পাশে ধান
ক্ষেতসংলগ্ন জমিতে কবরের ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন কবি।
বুধবার সকাল
১০টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সৈয়দ হকের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় নামাজে জানাযা সকাল পৌনে ১১টায় বাংলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বসাধারণের
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সব্যসাচী লেখকের মরদেহ সকাল ১১টা থেকে কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনারে রাখা হয়। দুপুর একটায় তাঁর মরদেহ শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে
ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুর পর সৈয়দ হকের মরদেহ গুলশানে তাঁর বাসভবনে নেওয়া হয়। পরে
মরদেহের গোসল শেষে আবারো হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
লন্ডনের
রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে চার মাস চিকিৎসার পর ২ সেপ্টেম্বর সৈয়দ শামসুল
হক দেশে ফেরেন।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তিনি লন্ডনে যান।
সেখানে পরীক্ষার পর তার ক্যানসার ধরা পড়ে। দেশে ফেরার পর তিনি ইউনাইটেড
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।