কুড়িগ্রাম জেলার এক সময়ের প্রমত্তা ধরলা নদী এখন প্রায় পানিশূন্য। সেচ দিতে
পারছেন না কৃষক। নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় ফলে মাছও নেই নদীতে। এতে বিপাকে
পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।
ধরলা নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের হিমালয় পর্বত। বাংলাদেশ অংশে ৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীটি লালমনিরহাট থেকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ও সদর উপজেলা হয়ে চিলমারিতে ব্রহ্মপুত্রে মিশেছে। ধরলা নদীর পানি কমতে কমতে এখন পরিণত হয়েছে সরু নালায়।
কুড়িগ্রাম জেলার এক ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, বলতে গেয়ে এ এলাকা একদম মরুভূমি হয়ে গেছে। কোন পানি দেখা যায় না; আছে শুধু ধু ধু বালুচর। এই চরের মধ্যে নদী থেকে পানি নিয়ে আবাদ করতে পারি না, মেশিন দিয়ে পানি দিতে হয়।
বর্ষা মৌসুমে মাত্র দু’মাস নদীতে পানি থাকলেও বছরের বাকী সময় প্রায় পানিশূন্যই থাকে ধরলা। জেগে ওঠে অসংখ্য চর। মাছসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদ উধাও হয়ে গেছে নদী থেকে। চরম দুর্দিনে পড়েছেন জেলেরা।
একজন জেলে বলেন, এখন আর নদীতে মাছ পাই না। পবো কী করে নদীতে তো পানিই নাই।
অন্যদিকে কৃষিকাজে সেচ দিতে না পারায় নদীর দু’পারের কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। নদীর নাব্যতা কমায় পরিবেশেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মির্জা মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, মাছের প্রজননের জন্য যে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পানি থাকার কথা সে পানি নেই যার কারণে মাছের সঠিক উৎপাদন হচ্ছে না।