কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রথমবারের মতো আবাদ করা হয়েছে উন্নতজাতের জিরাশাইল মিনিকেট ধান। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও আশা করছেন কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নাগেশ্বরী উপজেলার ৪৮টি ব্লকে ৭৪ বিঘা জমিতে জিরাশাইল মিনিকেট ধানের পরীক্ষামূলক আবাদ করেছেন একশো’৫০ জন কৃষক। অপেক্ষাকৃত সরু ও সুগন্ধি এই ধান আবাদে প্রথমবছরই সাফল্যের মুখ দেখেন তারা।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,কুড়িগ্রাম অঞ্চলে জিরাশাইল জাতের ধানের আবাদ এবারই প্রথম। তবে এবার আশানুরুপ সাফল্য পেয়েছে তারা। এখন থেকে এই ধানের বীজ রাখার কথাও জানান তারা।
জিরাশাইল মিনিকেট ধানের বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া গেছে ২৩-২৪ মণ। এ প্রসঙ্গে একজন কৃষক বলেন, এবার ফলন ভালো পাওয়া গেছে। আাগামীতে আমরা সবাই এ ধানের আবাদ করবো।
সরু ও সুগন্ধি জাতের ধান সম্পসারণে কৃষককে বীজ দিয়ে সহায়তা করেছে স্থানীয় বেসরকারি উদ্যোক্তারা। বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রামের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র সেন মনে করেন এই ধানের উৎপাদন ২৮ জাতের ধানের তুলনায় কোন অংশে কম হবে না।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ চ্যানেল আইকে বলেন, এই ধান উৎপাদন করে কৃষকে লাভবানের পাশাপাশি মিল মালিকরা যারা আগে বাইরের জেলা থেকে সরু-সুগন্ধি ধান এনে মিল চালাতো। এখন থেকে তাদের জন্য সুবিধা হবে।