কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুফি ফারুক।
তিনি জানান, তার কর্মীদের নিয়ে আগস্ট মাসের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৭ থেকে ১৯ আগস্ট ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করেন। ১৫ টি ক্লাবসহ রোটারি ইন্টারন্যাশনাল তাকে সহায়তা করেন। কর্মসূচির বিষয়ে থানা ও ইউএনও অফিসকে আগে থেকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছিলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কুমারখালি গুরুকুলে ৫০০ রোগীর মধ্য থেকে ১০০ রোগী বাছাই করা হয়। এরপরে উক্ত রোগীদের অপারেশনের জন্য গাড়িতে করে কুষ্টিয়ার আদ দ্বীন হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে রোগীরা পৌঁছানোর পরে সিভিল সার্জন ফোন দিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তারদের অপারেশন করতে নিষেধ করেন।
ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুফি ফারুক আরও জানান, অনুমতি নেয়া হয়নি বলে অপারেশন বন্ধ রাখতে বলেন। তখন জানতে চাওয়া হয়- হসপিটাল, ওটি ও কোয়ালিফাইং ডাক্তার থাকার পরে এ ধরনের অপারেশনের জন্য অন্য কোন অনুমতি নেবার কি সরকারি বিধান আছে? সিভিল সার্জন এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন অপারেশন আপাতত বন্ধ রাখেন, আমরা হসপিটাল ইন্সপেকশন করে তারপরে অনুমতি দেবো। তখন জিজ্ঞেস করা হয় আদ-দ্বীন হাসপাতালে তো নিয়মিত এই অপারেশন হয়, ইন্সপেকশনের প্রয়োজন হলে আপনারা আগে করেননি কেন? প্রশাসনকে আগে জানানো হয়েছিলো, তারা তখন কিছু বলেনি কেন। তিনি সে প্রশ্নেও নিরুত্তর থাকেন। বিগত কয়েকদিন আগে রতন ক্লিনিকে একই ধরনের ক্যাম্প করেছিলো, তারা কি অনুমতি নিয়েছিলো, তিনি তার কোন জবাব দেননি।
এ বিষয়ে ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনুমতি না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন রওশন আরা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় চক্ষু ক্যাম্প নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, এই কারণে এখন এটা করা যাবে না। দেশবরেণ্য শিল্পীরা কুমারখালি-খোকসায় ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন শীর্ষক’ প্রচারণা অনুষ্ঠান একই ভাবে বন্ধ করতে চেয়েছিল বলে দাবি সুফি ফারুকের।