স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনায় যাকে ধরা হয়েছে সেটা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ধরা হয়েছে। অভিজ্ঞ টিমদের পর্যবেক্ষণ শেষে এটা জানা গেছে। তিনি কার নির্দেশে এবং প্ররোচনায় এ কাজ করেছেন সেটা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। আটক ব্যক্তি একা একা এ কাজ করেনি। কারো নির্দেশে করেছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কুমিল্লা থেকে শুরু করে রংপুর পর্যন্ত যে ঘটনা ঘটেছে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখন পরিবেশ পুরোপুরি শান্ত আছে। মানুষের মন থেকে আতংক কমে গেছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতীয় সমন্বয় সভার বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কক্সবাজার এবং ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে কোস্টগার্ডকে সেখানে আরও শক্তিশালী করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে। সন্ধ্যার পর মিয়ানমার থেকে কোনো ইঞ্জিন চালিত বাহন আসবেনা। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে যোগাযোগ আরও জোরদার করতে হবে। নাফ নদীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি আরও বাড়ানো হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, বাকি রোহিঙ্গাদের ডিসেম্বরের মধ্যে ভাসানচরে নেয়া হবে। মহিবুল্লাহ হত্যার সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারাই এই হত্যার সাথে জড়িত।
বিজিবি সদস্যদের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে নিরপরাধ কাউকে গুলি করেনা; সীমান্ত রক্ষার জন্য তারা যা যা করা প্রয়োজন তাই করে।