কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩৬ রানে হারিয়ে বিপিএল পঞ্চম আসরে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে মাশরাফীর রংপুর রাইডার্স। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস।
১৯৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসকে নিয়ে ঝড়ো শুরু করেন তামিম ইকবাল। ১৯ বলে ৩৬ করে ফেরেন তিনি। পঞ্চম ওভারে আউট হওয়ার সময় দলকে ৫৪ রানে রেখে যান।
তামিম ফিরতে ফিরতে নতুন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস দেখে দেখে খেলতে বলে যান। পার্শ্বরেখার পাশে অধিনায়কের সঙ্গে এমন আলাপের মিনিট খানেক বাদে শূন্য রানে ফিরে যান ইমরুল। দুই বল খেলে স্টাম্পিং হন। এরপর ১০ রান করে শোয়েব মালিক ফিরে গেলে কুমিল্লা চাপে পড়ে যায়।
এরপর স্যামুয়েলস আর জস বাটলার একটা চেষ্টা চালান। কিন্তু শেষ করে যেতে পারেননি। স্যামুয়েলস ৩০ বলে ২৭ করে ফেরেন। বাটলার ১৬ বলে করতে পারেন ২৬। এই জুটি ভাঙার পরই মূলত ম্যাচ থেকে একেবারে বেরিয়ে যায় কুমিল্লা।
মাশরাফী ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। রুবেল হোসেন তিন উইকেট নিতে খরচ করেন ৩৪ রান। দুটি করে উইকেট নেন বোপারা, উদারা।
এর আগে জোনাথন চার্লস ৬৩ বলে ক্যারিয়ারসেরা ১০৫ রান করে রংপুরকে লড়াইয়ের স্কোর এনে দেন। ৯টি চার, সাতটি ছয়ে এই রান করেন তিনি। তাকে সঙ্গে দেন রোববারের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম। চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে ৪৬ বলে ৭৮ করে যান তিনি। তিনি একটি চারের পাশাপাশি ছয় হাঁকান ৯ টি।
এ দুই ব্যাটসম্যানের ১৫১ রান বিপিএলে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সেরা জুটিটি ছিল শাহরিয়ার নাফীস ও ডেভিড মালানের ১৫০ রান। গত বছর বরিশাল বুলসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে এ জুটি গড়েন তারা।
এবারের বিদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যর্থদের তালিকা করলে উপরের দিকেই থাকতেন চার্লস ও ম্যাককালাম। কেননা ৫ ম্যাচ খেলে চার্লসের সর্বোচ্চ ছিল ২৬ আর ১০ ম্যাচ খেলা ম্যাককালামের সর্বোচ্চ ছিল ৪৩। ক্রিস গেইলের (৩) ব্যর্থতার ম্যাচে রংপুরের হাল ধরেন এ দুজন।
রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল মাশরাফীর দল। এলিমিনেটরে খুলনার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ক্রিস গেইল শুরুতেই ফিরে যান। ১০ বলে ৩ রানে মেহেদীর স্পিনে তুলে মারতে যেয়ে মালিকের হাতে ক্যাচ দেন। দলটি ৫৫ রান তোলার পর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে খেলা থেমে যায়। শুরু হয় নাটক। খেলা হবে কি না, হলেও সেটা কীভাবে হবে তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় সোমবার একই জায়গা থেকে আবার খেলা মাঠে গড়বে।
কুমিল্লার মেহেদী হাসান চার ওভারে ৪৪ দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। হাসান আলী শুধু কম রান দিয়েছেন। সমান সংখ্যক ওভারে ২৩ রান খরচায় এক উইকেট তার। তিন ওভারে ৩৮ দেন ক্রেমার। আল-আমিন ৪২ রান খরচ করে উইকেটহীন। সাইফউদ্দিন ৩৮ রান দিয়ে একজনকে ফেরান।