কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) বাসে হামলার প্রতিবাদে ও দায়ীদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরগামী বাস কুমিল্লা শহরে পৌঁছালে কিছু সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাসে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। এতে প্রায় ৪০জন আহত হয়। এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বহনকারী বাসগুলো নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস (কুমিল্লা স-১১-০০১১) থামাতে চালক আব্দুস সামাদকে নির্দেশ দেয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশের সাথে কথা বলার সময় পেছন থেকে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের বাসে হামলা চালায়। পরে বাস থেকে শিক্ষার্থীদের নামিয়ে রাস্তার এক পাশে জড়ো করে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষকদের একটি বাস (কুমিল্লা স ১১-০০০৮), কর্মচারীদের একটি বাসসহ (কুমিল্লা ঝ-১১-০০১৪) বিআরটিসির ভাড়া করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি,পুলিশী সহযোগিতায় সন্ত্রাসীরা বিনা কারণে হামলা চালিয়েছে।
এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল রাত ১২.৩০ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। এসময় উপাচার্য আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের সাথে বৈঠক করে আজ (সোমবার) সিদ্ধান্ত দিবে এমন আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান প্রত্যাহার করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, একটা বাসই শুধু ভাংচুর করা হয়েছে। আর আমরা সহনীয়মাত্রায় কাজ করি। অনেক কিছুই হয়ত শোনা যাবে। তিনি ব্যস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনা জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কুমিল্লা সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তবে তারা জানিয়েছে যে, তাদের কোন শিক্ষার্থী এ হামলায় জড়িত নয়।’ হামলায় পুলিশের অংশ গ্রহণের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আগামীকাল (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছিল।