কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদারের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্স থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলের অধীনে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার শীলাকে আহবায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঐ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তিনি নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘ইংরেজি বিভাগের সান্ধ্য কোর্সে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর করা যৌন হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্যের সাথে কথা বলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে সান্ধ্য কোর্সের সকল ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আলী রেজওয়ান তালুকদার বলেন, ঐ শিক্ষার্থীর সাথে অনেকদিন যাবত কোন যোগাযোগই নেই। হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
সান্ধ্য কোর্স থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সান্ধ্য কোর্সের দায়িত্ব থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার চিঠিটি পেয়েছি। প্রমাণ ছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রেজওয়ান তালুকদারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মোবাইল ফোনের গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ করেন বিভাগের সান্ধ্য কোর্সের এক শিক্ষার্থী।