চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কুবিতে ভর্তি কার্যক্রমে বৈষম্যের অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ভর্তি কার্যক্রমে কোটায় ভর্তি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বিভাগ মাইগ্রেশন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে পছন্দের তালিকায় সামনের বিভাগে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নতুন ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভাগে ভর্তি হতে পারছেন।

বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক দাবি করে ইতিমধ্যে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছভূক্ত ভর্তিপরীক্ষা ও প্রথম ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মোট আসনের প্রায় নয় শতাংশ খালি রেখেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠদান শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সেসময় ৩০ মার্চ পর্যন্ত শূন্য আসনে ভর্তি কার্যক্রম চলমান রেখে এরপর আসন ফাঁকা থাকলেও ভর্তির সময়সীমা আর বাড়াবে না বলে ঘোষণা দেয় প্রশাসন। তবে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করায় একমাস পর ফাঁকা আসনের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত হয়। ফলে ফের ভর্তির সময়সীমা বাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৩০ মার্চ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সভায় কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুষদ ওপর ছেড়ে দেয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। সভার এ পরামর্শ অনুযায়ী কোটায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় বি ইউনিট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের অধীনের বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া আমি পছন্দমতো বিভাগে যেতে পারছি না। অথচ মেধা তালিকায় আমার পরে থাকা ব্যক্তিরা পছন্দের বিভাগ পাচ্ছেন। বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করীম বলেন, যারা কোটায় ভর্তি হচ্ছে তারা এমনিতেই সুবিধা পাচ্ছে। ফলে আমরা কোটায় শূন্য আসনে নতুন ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, বিষয়টি আমি এখনও জানি না, যদি এমন কিছু হয় তবে এটা বৈষম্য হয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।