চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কুকুরের গলায় মেডেল পরিয়ে ট্রাম্প বললেন, ‘আমেরিকান হিরো’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বিতর্কিত কাজের মাধ্যমে সমালোচিত। হয়তো স্বেচ্ছায় এসব করে আনন্দ পান তিনি। এবার টুইটারে এমন একটি ছবি তিনি শেয়ার করেছেন, যা একজন আমেরিকান সৈনিকের জন্য অপমানজনক।

২০১৭ সালের জুলাইতে তিনি ‘মেডেল অফ অনার’ পরিয়ে দিয়েছিলেন ভিয়েতনাম যুদ্ধফেরত সেনা জেমস ম্যাকক্লোয়ানের গলায়। বুধবার ট্রাম্প সেই একই ছবি পোস্ট করলেন টুইটারে। পার্থক্য একটাই। সেখানে জেমসের মুখ বদলে গিয়েছে একটি কুকুরের মুখে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইট করে কুকুরটি সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আমেরিকান হিরো!

তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে দেখলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, ছবিটি ফটোশপে এডিট করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম যুদ্ধে ১০ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন মার্কিন সেনা চিকিৎসক জেমস ম্যাকক্লোয়ান। তাকে সম্মানিত করে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন: আপনার কাজ ও সাহস আমাদের ঋণে আবদ্ধ করেছে।

আর গতকাল সেই একই ছবি তিনি টুইট করে লিখেছেন, একটি সুন্দর কুকুর। প্রতিভাবান কুকুর। এটি আহত হয়েছিলো। তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সে আমেরিকার হিরো।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফটোশপ করে ম্যাকক্লোয়ানের মুখটি বদলে দেওয়া হয়েছে একটি কুকুরের মুখে।

এই কুকুরটিই নাকি সিরিয়ার সুড়ঙ্গের মধ্যে আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে তাড়া করে মরণ দ্বারে পৌঁছে দিয়েছে।

ম্যাকক্লোয়ানকে মেডেল পরানোর ছবি

ছবিটিতে দেখা যায়, মেডেল অব অনারে যে তারকাখচিত থাকে, তার জায়গায় আনা হয়েছে কুকুরের থাবার চিহ্ন। তাড়াহুড়োয় রয়ে গিয়েছে ম্যাকক্লোয়ানের সম্মানিত হওয়ার ছবি প্রকাশ করা একটি খবরের সাইটের নামও।

প্রসঙ্গটি তুলতেই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই বিষয়ে মতামত দিয়েছেন ৭৩ বছরের ম্যাকক্লোয়ান। তিনি অবশ্য এই বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন।

ম্যাকক্লোয়ান জানান যে, একজন প্রতিবেদক এই ছবিটি তার কাছে পাঠানোর আগে তিনি তা দেখেননি। মিস্টার ট্রাম্প কুকুরের বীরত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি যখন দুটি চিত্রের তুলনা করেন তখন অবশ্য অসন্তষ্ট হননি। তিনি তা দেখে হেসেছিলেন।

ম্যাকক্লোয়ান বলেন, এই কুকুরগুলো খুব সাহসী হয়। সাহসী লোকদের সঙ্গে তারা কাজ করে।

তিনি আরও জানান, ভিয়েতনামে তিনি একটি কুকুরের সাথে কাজ করেছিলেন। যে মিশনের সময় শত্রুদের কাযকলাপ সনাক্ত করতে সহায়তা করেছিলো। তারা খুব সাহসী।