নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মো. সাহাদাত হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
সোমবার গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলোচিত এই ঘটনার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকার একটি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।
এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা (নং-৫) দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র্যাব-১ এর মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদী জানান, সাহাদাত পরোক্ষভাবে কয়েকজনের সহযোগিতায় অত্যন্ত সুকৌশলে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে।
গ্রেপ্তার সাহাদাত প্রাথমিকভাবে কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেছে জানিয়ে মেজর মেহেদী বলেন, গত ২-৩ মাস আগে মোবাইলে আলাপের মাধ্যমে ওই কিশোরীর দারিদ্র্যতার সুযোগ নেন সাহাদাত। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলেই পরিচয় করিয়ে দেন।
‘‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন ওই কিশোরীকে গত ২৪ জানুয়ারি দেখা করতে বলেন। সে অনুসারে কিশোরী দেখা করতে সোনারগাঁওয়ের পেরাব এলাকায় গেলে সাহাদাত নিজেকে সুমন বলে পরিচয় দেন। পরে সাহাদাত ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে হোটেলে নিয়ে কোমল পানীয় ও জুসের সঙ্গে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।’’
সাহাদাত গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে ঘটনা গোপন রাখতে কিশোরীকে চাপ দেয়।
এর আগেও কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বলেও জানান মেজর মেহেদী।