জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইন্সটিটিউটে একটি ডিসপোজেবল ডায়ালাইজার মেশিনে ১৫ থেকে ১৭ বার ডায়ালাইসিস হচ্ছে। আর এতে ব্যাপকহারে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কিডনি রোগীরা।
ডায়ালাইসিস কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে গঠিত চার সদস্যের প্যানেল সক্রিয় হলেই সেবার মান নিশ্চিত করা সম্ভব বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আগে ২০টি ডায়ালাইসিস মেশিনে কিডনি ডায়ালাইসিসের কাজ চলতো রাজধানীর জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইন্সটিটিউটে। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ঐ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটটি বিলুপ্ত করে ‘প্রাইভেট-পাবলিক পাটর্নারশিপের মাধ্যমে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়।
তবে ‘সেনডর ডায়ালাইসিস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডায়ালাইসিস সেবার বর্তমান মান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। অথচ হাসপাতালের স্থাপনা ও পানি-বিদ্যুৎ ব্যবহার ছাড়াও প্রতিটি রোগীর ডায়ালাইসিস বাবদ আঠারো’শ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।
অভিযোগ ওঠেছে ডিসপজেবল ডায়ালাইজার মেশিনের ডায়ালাইসিস নিয়ে।
‘সেনডর ডায়ালাইসিস লিমিটেড’ অবশ্য বলছে, ডায়ালাইজার মেশিনটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা হয়।
ডায়ালাইসিস কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সার্বিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো ‘ইনভেসকো গ্লোবাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে তাদের সাথে চুক্তি শেষ হয়ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যের কমিটিও সক্রিয় নয় বলে জানা গেছে।
আর এসব নানামুখী প্রতিকূলতায় পড়ে এক ধরনের অকার্যকর অবস্থায় জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইন্সটিটিউটের ডায়ালাইসিস কার্যক্রম।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: