অর্থ পেতে আবারো লাগামহীন প্রতিযোগিতায় নেমেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কাড়াকাড়ি করে আমানত নিচ্ছে তারা। জমার অংক বড় হলে ১১ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেয়ার প্রলোভন দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।
কল মানিও গড়ে ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকছে, তারপরও হঠাৎ করে কেন এ তারল্য সংকট বুঝে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঋণ পুনঃতফসিলের প্রজ্ঞাপনটি দ্রুত দেয়ার পরামর্শ ব্যাংকারদের।
২০১২ সালের পর আবারো কদর বাড়তে শুরু করেছে গ্রাহকের টাকার। গ্রাহকরা যেখানে আমানত নিয়ে ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরত, এখন সেখানে আমানতের জন্য গ্রাহকের পেছনে ছুটছে ব্যাংক। উচ্চ সুদে অর্থ জমা রাখলেও নয়-ছয়ের খপ্পরে পড়ে, অফিসিয়ালি তা স্বীকার করছে না ব্যাংকগুলো।
সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, জনতা, রাষ্ট্রয়ত্ত এ ৪ ব্যাংকের কথা বাদ দিলে প্রায় সব ব্যাংককেই ঋণ ও আমানতের অনুপাত নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ থেকে দেখা যাচ্ছে, গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক আমানত বেড়েছে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু ঋণ বেড়েছে ৬৮ হাজার কোটি। অর্থাৎ আমানতের তুলনায় ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা।
ঋণ কেলেংকারি, অব্যবস্থাপনা ও আস্থার সংকট আছে। তারপরও গ্রাহকের আস্থা রাষ্ট্রয়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর। আমানতের ২৮ শতাংশ এ ব্যাংকগুলোতে। সরকারি ব্যাংকের ঋণ-আমানতের হার ৬৭%। আর ৭২ শতাংশ আমানত নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো সাড়ে ৮৩ শতাংশের সীমা অতিক্রম করে ঋণ দিয়ে ফেলেছে ৮৭%।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: