প্রায় ৩০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কাশ্মিরের পাম্পোরে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে যখন নিরাপত্তাবাহিনীর গুলি বিনিময় চলছে, ঠিক একই সময়ে আরেকটি সেনা ছাউনিতে গ্রেনেড হামলা চালালো সন্ত্রাসীরা। দক্ষিণ কাশ্মিরের সোফিয়ান জেলায় আধা-সামরিক বাহিনী ছাউনিতে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এতে সাত বেসামরিক নাগরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর এক সদস্য আহত হয়েছে।
এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্সের আধা-সামরিক বাহিনীর বহরে হামলা চালিয়ে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এর আগে সোমবার ভূস্বর্গের পাম্পোরের বাণিজ্যিক উন্নয়ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে মধ্যে ঢুকে পড়ে ৩ অস্ত্রধারী। প্রথমে বহুতল ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এই ঘটনায় এক সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে।
পাম্পোরে এখনো নিরাপত্তাবাহিনী ও ভেতরে অবস্থান নেয়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে গোলগুলি চলছে। যে ভবনে বন্দুকধারীরা অবস্থান নিয়েছে সেটা গুড়িয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে নিরাপত্তাবাহিনী।
শ্রীনগর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালিয়েছিল ৩ অস্ত্রধারী। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে সেই হামলায় ৩ আধাসামরিক সেনা ও ১ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়।
নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে কাশ্মিরি তরুণ বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে অশান্ত কাশ্মির। সেখানে প্রায় চার মাস ধরে কার্ফু চলছে। এই সময়ে বিক্ষোভকারীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ ও ছোড়রা বুলেটে ৯০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।