গত ২৯জুন মুক্তি পেয়েছে সকলের প্রতিক্ষিত সেই সিনেমা ‘সঞ্জু’। আর মুক্তির পর থেকেই এর সাফল্য যেন আকাশ ছুঁয়েছে। সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক নিয়ে নির্মিত ‘সঞ্জু’ যে এভাবে বক্স অফিস কাঁপাবে তা বোধহয় সিনেমার পরিচালক খোদ হিরানিও ভাবতে পারেননি। মুক্তির সপ্তাহের মধ্যেই ছবি ছুঁয়ে ফেলেছে ২০০ কোটির ম্যাজিক ফিগার। দ্বিতীয় সপ্তাহে যা দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ কোটির ক্লাবে!
সঞ্জয় দত্তর ভূমিকায় নিজেকে আমূল বদলে হইচই ফেলেছেন রণবীর কাপুরও। তবে সমালোচকরা বলছেন, সঞ্জয় দত্তর কালো ইমেজকে ধুয়ে মুছে দিতেই উঠে পড়ে লেগেছেন হিরানি। আর তাই ছবিতে সঞ্জু বাবাকে নিতান্ত সিধে সাদা ভালমানুষের মুখোশে তুলে ধরেছেন পরিচালক।
কিন্তু এই সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন খোদ মুন্নাভাই। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত নিজে বলেছেন, ‘আমি কী সেটা সকলেই জানেন। মনে হয় না, আমার ইমেজকে ভাল দেখানোর জন্য কেউ ৩০–৪০ কোটি টাকা খরচ করবে। আমি সব সময় সত্যি কথা বলেছি, আর সেই সত্যিটাই সারা দেশের মানুষ গ্রহণ করেছেন। ছবির বক্স অফিস আয়ও সেই সত্যির পক্ষেই রায় দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনওই অন্ধকারের মানুষ ছিলাম না। আমার জীবনের কোনও অন্ধকার দিক থাকলে এত মানুষ কি আমাকে ভালবাসতেন? কম বয়সে ছেলেমেয়েরা যেমন ভুল করে, আমিও সেরকমই ভুল করেছিলাম। ভুলের শাস্তি পেয়ে আমি জেলেও গিয়েছিলাম। তার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই, দুঃখও নেই। কারণ ভুল থেকেই আমি শিক্ষা নিয়েছি।’
এদিকে সঞ্জয় দত্তর বোন প্রিয়া দত্তও এর জবাবে বলেছেন, চলচ্চিত্রে কিছু কল্পনার আশ্রয় নিতেই হয়। কিন্তু নিজের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করার চেষ্টা সঞ্জয় কোনওদিনই করেনি। সেটা করার হলে বহুদিন আগেই করতে পারত। পরিচালক ‘সঞ্জু’ ছবিতে সঞ্জয় দত্তর জীবনের যা সত্যি, সেটাকেই পর্দায় এনেছেন। ভুল ও দোষ সমেত মানুষ সঞ্জয়কেই তুলে ধরেছেন।