তুরিনের আল্পস পর্বত পার হতে পেরেছে মোনাকো। কিন্তু জুভেন্টাসের গড়া রক্ষণ পর্বতটা আর পার হতে পারল না লিওনার্দো জার্দিমের দল। মোনাকোকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামীতায় কার্ডিফের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ম্যাস্সিমিলিয়ানো অ্যাল্লেগ্রির দল।
ফাইনালে যেতে জয়ে চাই। কমপক্ষে ৩-০ গোলের। এমন কঠিন সমীকরণের সামনে লড়াইটা চালিয়ে গেছে মোনাকো। শুরুটা হয়েছে এমবাপের হাত ধরে। ৫ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে এই ফরাসী তারকার শট বারে লেগে ফিরে আসে।
স্বাগতিকদের থেকে পালটা জবাব এসেছে একটু সময় নিয়েই। ২২ মিনিটে প্রথম লেগের জয়ের নায়ক গঞ্জালো হিগুয়েনের শট ফিরিয়ে দিয়েছেন মোনাকো ডিফেন্ডার। মিনিট তিনেক পরেই অসাধারণ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মারিও মানজুকিচ। অতিথি গোলরক্ষক সুবাসিচকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি এই ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে না পারলেও ৩২ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করেছেন মানজুকিচ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি আলভেজের ক্রসে তার মাথা ছুঁয়ে আসা বল প্রথমদফা মোনাকো গোলরক্ষক ফেরাতে পারলেও ফিরতি শটে গোল করে স্বাগতিকদের ৩-০ গোলের অগ্রগামীতা এনে দেন এই ক্রোয়েশিয়ান।
গোল পেয়েই আরও তেঁতে ওঠে জুভরা। ৩৫ মিনিটে আরেকটি গোল পেতেই পারতো তুরিনের বুড়িরা। গঞ্জালো হিগুয়েন বল জালে জড়িয়ে দিলেও রেফারি বাঁশি বাজিয়েছেন অফসাইডের।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে মোনাকোর সমস্ত আশা কেড়ে নিয়েছেন দানি আলভেজ। প্রথম গোলের যোগানদাতা এবার নিজেই নাম তুলেছেন গোলের খাতায়। ২৫ গজ দূর থেকে দর্শনীয় এক শটে গোল কর জুভদের ব্যবধান দ্বিগুণ করিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক।
দ্বিতীয়ার্ধে মোনাকোও আক্রমণের কোন কমতি রাখেনি। সান্ত্বনার গোলও পেয়েছে ফরাসী ক্লাবটি। ৬৯ মিনিটে কাইলিয়ান এমবাপের গোলে ব্যবধান কমায় অতিথিরা। ফরাসী ফরোয়ার্ডের এই গোলে টানা ছয় ম্যাচ পর বুফনকে ভেদ করে কোন বল জুভদের জালে ঢুকল। আর চলতি আসরে ১২ ম্যাচে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার জুভদের জালে বল ঢুকল।
এই গোলেও বিশেষ ক্ষতি হয়নি জুভদের। পরে আর গোল পায়নি কোন দলই। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের অগ্রগামীতায় ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলে তুরিনের বুড়িরা। ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যকার জয়ী দলকে পাবে জুভেন্টাস।