চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কারখানা সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে বড় আর দুর্ঘটনা
না ঘটলেও কারখানা সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সরকারের কারখানা
পরিদর্শন অধিপ্তর ডিআইএফই এবং ক্রেতাদের পরিদর্শন ও সংস্কার জোট-অ্যাকর্ড।

ডিআইএফই এবং অ্যাকর্ড বলছে, তারা বেশিরভাগ কারখানার পরিদর্শন শেষ করেছে,
কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ চালাচ্ছে ধীরে। বিজিএমই জানিয়েছে, অর্থায়ন জটিলতা
কাটলে কারখানাগুলো প্রস্তাবিত কাজ দ্রুত করতে পারবে।

তিন বছর আগে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর বাংলাদেশের কারখানাগুলো সংস্কারে চাপ আসে সরকার ও বিদেশী বায়ারদের পক্ষ থেকে। বায়ারদের দুই পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স মিলে প্রায় ২৪’শ এবং কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর ১৫’শ কারখানা পরিদর্শন করে। ২০১৮ সালের মধ্যে পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করার বাধ্যবাধ্যকতা থাকলেও অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় দেশী-বিদেশী কোনো পক্ষ।

অ্যাকর্ডের সিইও রব ওয়েজ বলেন, অগ্রগতি সন্তুষ্ট নয়, ২০১৪ সালের পরিদর্শন শেষ করার পর সংশোধন পরিকল্পনা দিয়েছি অথচ এখনো কাজ হয়নি। সত্যিই সময়ের চেয়ে পিছিয়ে সংস্কার কাজ। কিন্তু তারপরও আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।

অবশ্য কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আহমেদ বলেন, ই্তিমধ্যে আমরা ৯৭৭টি কারখানা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে পেরেছি। এবং কারখানা মালিকদের সহায়তায় আমরা কারখানাগুলোকে মানসম্পন্ন করছি। এরইমধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি ক্যাব আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। পাঁচটি অনুমোদন করে দিয়েছি বাকিগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখছি তাদের কারখানা প্ল্যানগুলো।

তবে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করতে উদ্যোক্তারা আন্তরিক। অর্থায়ন জটিলতার কারণে সংশোধন পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুতে পারছেন না তারা।

বিজিএমই প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমাদের যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে তা আসলে খুব কষ্টসাধ্য কাজ। ফায়ার ড্রব প্রতিটি দরজায় লাগাতে হবে।

তবে একটি কারখানায় কতগুলো দরজা থাকে তা সবারই জানা সেগুলোতে ফায়ার ড্রব লাগানোর যে পরিমাণ অর্থায়ন দরকার তো আমাদের লাগবে। তাছাড়া বিদেশী বায়ারদের কাছে যখন একটি প্ল্যান আমরা দিয়েছিলাম তখন তাদেরও উচিত ছিলো প্ল্যানটি সংশোধন করে আমাদের দেয়ার কিন্তু তা তারা করেনি।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর সামগ্রিকভাবে পোশাক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বাড়াতে নেয়া পদক্ষেপগুলোর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তৈরী পোশাক খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশী বিদেশী সব পক্ষ।