কানাডার আদালত যে রায় দিয়েছে তা সরকারের সাজানো নাটকের অংশ বলে দাবি করে বিএনপি বলছে, নির্বাচনের আগে জনগণের মুখে ধোঁয়াশাা সৃষ্টির জন্য সরকার এ ধরনের পরিকল্পিত ঘটনা তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ বলেন, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ভুল তথ্য দিয়ে সরকার এ ধরনের রায়ের উস্কানি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন। কিন্তু বিএনপি কখনো সন্ত্রাসী কাজ করে না। বিএনপি গণতন্ত্র চর্চা করে। জাতীয়তাবাদী আদর্শ চর্চা করে।
তিনি আরো বলেন, মূলত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ভুল তথ্য দিয়ে এসব মিথ্যাচার করছে সরকার। ওই রায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে বলা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যদি সন্ত্রাসী দল হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়েও এগিয়ে।’
এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, কানাডার আদালত যে রায় দিয়েছে শুনেছি সেটি গতমাসের ২৫ তারিখের রায় কিন্তু গতকাল তা হঠাৎ করে প্রকাশ করেছে একটা অনলাইন পত্রিকা। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট, সাজানো। ক্ষমতাসীনদের দ্বারা পরিচালিত মিডিয়াগুলোতে এটি প্রচারের ধুম পড়ে গেছে। নির্বাচনের আগে এমন একটা নাটক করে জনগণের সামনে বিএনপি সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার।
“যে অনলাইনে দেখলাম তাতে প্রমাণিত যে, তা ক্ষমতাসীন দল দ্বারা প্রভাবিত। যে ছেলেটি সংবাদটি করেছে (সাগর) সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা। তারা মূলত পরিকল্পিতভাবে কানাডায় বসে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
এসময় তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য নয়। প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেন না এটা প্রমাণিত। তিনি অসত্যের উপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি শুধু মিথ্যা কথায় বলেন না তিনি সত্যকে মিথ্যার আদলে ঢেলে সাজান।
সাংবাদিকদের সামনে সেই দিনের বেশ কয়েকটি ছবি তুলে ধরে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া যেখানে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সেখানে অনেকেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
গাইবান্ধার এমপি লিটন হত্যায় জাতীয় পার্টির নেতা গ্রেফতার হওয়ায় তিনি বলেন, দেশে যে কোনো ঘটনা ঘটলেই বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে জনগণ জানে।