কানাডার নাগরিকদের কাছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বিভিন্ন প্রদেশে ১৪টি বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে কানাডা।
ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার সুবিধা সম্বলিত এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন রেখে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে অন্টারিও, কুইবেক, ম্যানিটোবা এবং আলবার্টা প্রদেশে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। এই প্রদেশগুলোতে এখনও ভাইরাস সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। অঞ্চলগুলোতে ভ্যাকসিন রাখার পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় প্রথম পর্যায়ে সেখানে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে না।
১৪টি বিতরণ কেন্দ্রের অবস্থান সরকার এখনও ঘোষণা করেনি। জানা গেছে, হাসপাতাল এবং গবেষণাগারকে প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফাইজারের ভ্যাকসিন রাখার জন্য মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর দরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিটি প্রদেশই তার লোক সংখ্যার অনুপাতে ভ্যাকসিন ডোজ পাবে।
অন্টারিওর ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন টাস্কফোর্সের প্রধান রিক হিলার জানিয়েছেন, অন্টারিও চলতি মাসে ৮৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাবে।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম বলেছেন, কানাডায় ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য হেলথ কানাডা কঠোর নিয়ন্ত্রক পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ মান, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা পূরণ করবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৫ জন, মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ জন।