করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন। বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, যান চলাচল, ঘর থেকে বের হওয়ায় রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। কানাডায়ও এর ব্যতিক্রম নয়।
তবে কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন তুলে নিচ্ছে কানাডা। ইতিমধ্যে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় পরিস্থিতি উন্নত হলে সেখানে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। কুইবেক এবং অন্টারিওতে লকডাউন থাকলেও তা যেকোনো সময় তুলে নেয়া হতে পারে। আলবার্টা প্রভিন্স এ লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করার পরিকল্পনা চলছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মসজিদ খোলা এবং ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ক্যালগেরির বিএম আইসিসি এর প্রেসিডেন্ট কাজী রহমান সুজা জানালেন, ঈদের জামাত নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে পরিকল্পনা চলছে। যদি ঈদের জামাত আদায় করা হয়, তাহলে আলবার্টার নিয়ম নীতি মেনেই হয়ত ১৫ জন নিয়ে নামাজ আদায় করা হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদগুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল সরকার।এ ব্যাপারে বিভিন্ন মসজিদের পরিচালনা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হচ্ছে। স্কারবোরো সেন্টারে এমপি সালমা জাহিদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চ্যূয়াল এক ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে এই কথা বলেন।
স্কারবোরোর সব এমপি, এমপিপি এবং লিবারেল পার্টির নেতাদের নিয়ে এই ভার্চুয়াল ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার এমপি, আহমেদ হোসেন এমপিও এতে অংশ নেন। লিবারেল পার্টির তরুণ নেতা সারোয়ার চৌধুরী এই ইফতার পর্টির আয়োজন করেন।
এসময় এমপি সালমা জাহিদ বলেন, খোলা মাঠে বা মসজিদে আসন্ন ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হবে বলে তিনি মনে করেন না। প্রভিন্সিয়াল সরকারের ঘোষিত জরুরী অবস্থা এখনো বহাল আছে। জরুরী অবস্থায় কোথাও ৫ জনের বেশি সমাগম করা যায় না।
সালমা জাহিদ জানান, সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেয়ার পরিকল্পনার সাথে সাথে মসজিদগুলো খুলে দেয়ার চিন্তাও করা হচ্ছে। তবে কী উপায়ে, কী বিধিব্যবস্থা অনুসরণ করে তা করা হবে সে বিষয় নিয়ে শিগগিরই মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিদের সাথে প্রভিন্সিয়াল সরকার আলোচনা করবে।
এর আগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে উচ্চস্বরে মাগরিবের আজান প্রচারের অনুমতি দেয় টরোন্টো, অটোয়া, মিসিসাউগা এবং ক্যালগেরি সিটি কাউন্সিল। করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিটি কাউন্সিলগুলো পৃথক পৃথকভাবে এই অনুমোদন দেয়। সংক্ষিপ্ত আকারে আজান প্রচার করার অনুমতি দিলেও মসজিদে সমবেত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়।