৪৮ দল নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছে ফিফা। সেটা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ থেকেই শুরু করতে চায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এজন্য অবশ্য কাতারের প্রতিবেশি দেশগুলোতে কিছু ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছে ফিফা।
কাতারের প্রতিবেশি দেশে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে গভর্নিংবডিও রাজি বলে জানাচ্ছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। কিন্তু সমস্যা বাধছে এক জায়গায়। উপসাগরীয় দেশগুলোর কূটনৈতিক উত্তেজনায় ভেস্তে যেতে পারে ফিফার এমন পরিকল্পনা।
বুধবার দুবাইতে এক সম্মেলনে ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আমরা যদি উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশকে আয়োজনে যুক্ত করতে পারি তাতে বিশ্বকাপ খুবই লাভজনক হতে পারে। এই লাভ শুধু এ অঞ্চলের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই হবে।’
এরপরই ফিফা সভাপতির মুখে শঙ্কার কথা, ‘এই বিশেষ অঞ্চলটিতে উত্তেজনা রয়েছে এবং এটি তাদের নিজ নিজ নেতারা মোকাবেলা করতে পারেন। তবে অন্য জটিল বিষয়গুলির চেয়ে যৌথ ফুটবল প্রকল্প সম্পর্কে কথা বলা সহজ। যদি এটি উপসাগরীয় অঞ্চলে ও বিশ্বের সকল দেশে ফুটবলের বিকাশ ঘটায় এবং ফুটবল সম্পর্কে বিশ্বকে ইতিবাচক বার্তা আনতে সহায়তা করে, তবে আপনাকে এটি নিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’ যোগ করেন ইনফান্তিনো।
সন্ত্রাস মদদের অভিযোগে ২০১৭তে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর একযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। যার কারণে এই দেশগুলোকে নিয়ে বিশ্বকাপের মতো একটা আসর আয়োজন করা বেশ কঠিনই মনে করছে ফিফা। যদিও সন্ত্রাস মদদের অভিযোগ কড়া ভাষায় অস্বীকার করেছে কাতার।
৪৮ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে সবুজ সংকেত দিয়ে ২০১৭তে ভোট হয় ফিফায়। সেটা চালু হওয়ার কথা ২০২৬’র যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু ইনফান্তিনো চান, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ থেকেই সেটা হোক।
‘বিশ্বকাপে ৪৮টি দল থাকলে যদি ভালো বলে মনে হয়, কেনো চার বছর আগে সেটা নিয়ে চেষ্টা করবেন না। আমরা ২০২২ সালে ৪৮টি দল নিয়ে বিশ্বকাপ সম্ভব কিনা তা ইতোমধ্যেই বিশ্লেষণ করছি। কাতারে বিশ্বকাপে ৩২টি দল অংশ নেবে। স্পষ্টতই, আমরা যদি এটি ৪৮টিতে বাড়িয়ে নিতে পারি এবং বিশ্বকে খুশি করতে পারি, তবে আমাদের এটা নিয়ে চেষ্টা করা উচিত।’
অন্যদিকে কাতার বলছে, এটি নিয়ে ফিফা থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিশদ না পাওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সম্প্রসারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে না।