কাজ করলে স্বীকৃতি তো চাই-ই-চাই। কিন্তু সেজন্য বসের পেছনে পেছনে ঘুরে ঘুরে নিজের উন্নতির চেষ্টা আর কতদিন? সকাল সকাল অফিসে পৌঁছালেন, অনেক রাত অব্দি অফিসে থাকলেন তবুও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না? হতাশ হবেন না। তার চেয়ে নিজেই কিছু উপায় বের করে নিন না। যেন নিজের কাজ দিয়েই নিজের অবস্থান আরো বেশি দৃঢ় করা সম্ভব হয়। কিছু ছোট ছোট উপায়ই পারে অফিসে আপনাকে সবার মধ্যমনি করে তুলতে।
পুরো টিমের উপর প্রভাব ফেলতে বড় কোনো কাজ নয় বরং ছোট ছোট কিছু বিষয়ে নজর দিন। বস কোনো কিছু বলার আগেই চেষ্টা করুন সেটা তৈরি রাখতে। মিটিংয়ের আগেই প্রোগ্রেস রিপোর্ট, সঠিক জায়গায় ব্যাক আপ রাখা বা কোনো বিষয়ে রিমাইন্ডার সেট করে রাখাও বেশ কাজে আসতে পারে এক্ষেত্রে। দেখবেন সবাই সহজে আপনাকে নোটিশ করছে। আমরা প্রায় সবাই বস যেটা বলছে কেবল সেটা করতেই স্বচ্ছন্দ। এর বাইরে কিছু নয়। সেটাতে আপনি একটা টাস্ক-মাস্টার হয়ে উঠবেন তা ঠিক। কিন্তু এভাবে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিলে সবসময়ের জন্য আপনার প্রয়োজনটা আরো একটু বাড়বে বৈকি।
কথা বলুন। মিটিং কিন্তু একটা ব্ল্যাক হোল। যেটা সময় এবং মনোযোগ দুটোই কেড়ে নেয়। তাই বলে সেটাকে উপেক্ষা করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। প্রথমত এমন জায়গায় বসুন যেন সহজে সবার নজরে আসেন। প্রশ্ন করুন এবং নিজের মতামত জানান। তবে খুব বেশি বলতে যাবেন না। তাহলে অন্য সবার বিরক্তির পাত্রে পরিণত হবেন। আপনি নিশ্চয়ই সেই ব্যক্তিটি হতে চাননা, যে কোনো কারণ ছাড়াই মিটিং টেনে নিয়ে চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কোনো কিছু আপনার মতের সঙ্গে না মিললে বলতে ভয় পাবেন না। বরং সঠিক যুক্তি দিয়ে বোঝান বসকে।
সবকিছু গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। হয়তো ফলাফল খুব ধীরে পাবেন কিন্তু পাবেন। সবগুলো ভিজিটিং কার্ড সুন্দর করে গুছিয়ে রাখুন। ফোন নাম্বারগুলো এক ফাইলে রাখুন, কলমদানিতে কলম রাখুন। আপনার গোছানো আচরণ আপনার অফিসেও প্রভাব ফেলবে। কারো হঠাৎ প্রয়োজনেও আপনি সাহায্য করতে পারবেন। সেটাই বা কম কিসে?
আশেপাশে বই রাখুন। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে সব কিছুই হাতের নাগালে মেলে। তাই বলে কি বইয়ের গুরুত্ব কমে? মাঝে মাঝে সেটা দেখে কিছু সাহায্য নিলে আপনারও যেমন জ্ঞানের উন্নতি হবে তেমন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো কিছু হয়তো আপনার কাজের গতিও বাড়িয়ে দেবে অনেকখানি।
অফিস স্টাফদের সঙ্গে পরিচিত হন। তাদের সম্মান দেখান। লিফটম্যান, পিয়ন বা ওয়াচম্যানসম্পর্কে জানুন। ঠিক যেমনটা আপনার কলিগদের সম্পর্কে জানেন। ছোট্ট এই কাজটাও কাজের ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব বয়ে আনবে। এই পরিচিতি আপনার আচরণ সম্পর্কেও সবার মনে ভালো ধারণা তৈরি করবে।