নজরুল জয়ন্তী আজ। একশ ১৯ বছর আগে এদিনে জন্ম নেয়া কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও বাঙালীর চেতনার জাগরণে ধুমকেতুর মতোই আবির্ভুত হয়েছিলেন।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ এক ঝড়ের রাতে অনন্য প্রতিভাধর কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেয়া নজরুল যৌবনের জয়গান গেয়ে স্বাধিকারের চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন উপমহাদেশজুড়ে। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক। সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবেও তার পরিচিতি কম নয়।
নজরুল আমাদের আদর্শ ও জাতীয় চেতনার কবি। যার ক্ষুরধার লেখনীতে জাগরণ আসে। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তার অপ্রতিরোধ্য এবং দুঃসাহসী রচনা ও অবস্থান তাকে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
তিন হাজার গানের রচয়িতা নজরুল ‘বিদ্রোহী’ কবিতা লিখে বৃটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। তার বিদ্রোহী (১৯২২) কবিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথে উজ্জীবিত করেছে।
ইসলামী গান যা গজল নামে খ্যাত, পাশাপাশি শ্যামা সঙ্গীত ও ভক্তিগীত রচনা করে বাংলা কাব্যে নতুন ধারার সূচনাও করেন কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪শে মে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবার ঢাকায় নিয়ে আসেন। কবিকে নাগরিকত্ব দিয়ে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষনা করা হয়। ১৯৭৬ সালে ২৯ আগষ্ট, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র মৃত্যু হয় অনন্য এই প্রতিভার। তাকে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়।