‘যেখানে সীমান্ত তোমার, আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, মৌসুমী কারে ভালোবাসো তুমি, এই রুপালি গিটার ফেলে এবং আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’র মতো এমন আরো বেশকিছু কালজয়ী গানের গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে এমনটা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চাইলেন তার একমাত্র ছেলে প্রতীক।
তার লেখা অনেক গান জনপ্রিয়তা পেলেও জ্যোতিষী হিসেবে সবাই কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে এক নামে চেনেন। জনপ্রিয় এই গীতিকবির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
গেল ২৭ অক্টোবর হঠাৎই কাওসার আহমেদ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার পর্যন্ত তাকে রাখা হয় আইসিইউতে। তার বর্তমান অবস্থা জানিয়েছেন তার একমাত্র ছেলে প্রতীক।
বৃহস্পতিবার বিকালে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে প্রতীক চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, আগেতো বাবা স্ট্রোক করেছিলেন, কিন্তু এবার মূল যে সমস্যাটা সেটা কিডনিতে এবং ব্লাডে ইনফেকশান। গতকাল ডাক্তাররা চেকাপ করে জানালেন, তার এখন নিউমোনিয়াও রয়েছে। যার কারণে বুকে পানি জমে আছে। মানে বাবার এখন মাল্টিপল প্রবলেম।
আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে কাওসার আহমেদ চৌধুরী আছেন প্রফেসর কুরাইশির অধীনে। তিনিই প্রখ্যাত এই গীতিকবির চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন।
প্রতীক জানান, বাবাকে এখন বেশকিছু মেডিসিন দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর থেকেতো খুবই গুরুতর অবস্থা ছিলো। কাউকে চিনতে পর্যন্ত পারছিলেন না। কিন্তু আগের চেয়ে এখন তিনি কিছুটা ভালো। মানুষজনকে চিনতে পারছেন। তবে ব্ল্যাডের ইনফেকশনটাকে অ্যালার্মিং হিসেবে দেখছেন ডাক্তাররা। এজন্য বাবাকে আরো দুই তিন দিন অবজার্ব করবেন তারা। তারপর সবকিছুর রিপোর্ট দেখে একটা সিদ্ধান্তে আসবো।
এরপর বাবার সুস্থতা কামনায় সবার কাছে দোয়া চান পুত্র প্রতীক।
১১ বছর বয়স থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র ও কবিতা লেখার তুমুল আগ্রহ ছিলো কাওসার আহমেদ চৌধুরীর। চিত্রশিল্পী হওয়ার স্বপ্নে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেও। দক্ষতার সাথে নাটক পরিচালনা করতেও দেখা গেছে তাকে।