এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ে মাঠে নেমেই উদযাপনে অংশ নিলেন তিনি। নিজের ছেলেদের বরণ করে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান এমপি।
স্টেডিয়ামে ওই মুহূর্তে তার চেয়ে খুশি মানুষ হয়তো আর কেউ নয়। আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। ম্যাচ উইনার মুশফিকুর রহিমের পিঠে হাত রেখে দর্শকদের জয়োধ্বনির জবাব দিলেন বিসিবি সভাপতি। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তখন লাল-সবুজের উৎসবটা আরও রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। শুধুই বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনিতে মুখর। ক্যামেরার ফ্লাশ জ্বলে উঠছে বারবার। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য।
এই নিয়ে তৃতীয়বার এশিয়ার সেরা হওয়ার টুর্নামেন্টে ফাইনালিস্ট হল টাইগাররা। ২০১২ এবং ২০১৬ সালে নিজেদের মাঠে আয়োজন করা দুটি আসরের ফাইনালে উঠলেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি একবারও। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইতে কি হতে যাচ্ছে প্রথমবার এশিয়া সেরা হওয়ার উৎসব?
নাজমুল হাসান পাপন বললেন, কাউকে ভয় পাওয়ার আর কোনো কারণ নেই আমাদের। এনিথিং ক্যান হ্যাপেন। হয়তো শক্তি কিংবা র্যাঙ্কিং ইত্যাদি দিক দিয়ে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু আমাদেরও অনেক ম্যাচ উইনার আছে এখন। তারা নিজেদের দিনে কি করতে পারে এটা ক্রিকেট বিশ্ব দেখছে।
একথা বলতে বলতেই নাজমুল হাসান জানান, খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যাপ্টেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ফোন করে ম্যাচ জয় এবং ফাইনালে ওঠার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভালো খারাপ সব সময়ই প্রধানমন্ত্রী দলের খোঁজ নেন। এটিও দলকে অনেক বেশি চাঙ্গা করে তোলে। কথাগুলো বলতে বলতেই বিসিবি সভাপতির ডাক আসে প্রেজেন্টেশন এরিয়ায় যাওয়ার।
নিজের দলের জয়ে আজ(বুধবার) পুরষ্কার তুলে দিচ্ছেন নাজমুল হাসান এমপি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্টের চোখেমুখে কি যে আনন্দের ঝিলিক খেলে যাচ্ছে। সবাই চোখ ভরে সে দৃশ্যই দেখে নিচ্ছি। আহা শুক্রবারের ম্যাচটার পরও যেনো এ আনন্দ ঝিলিক নিয়ে পুরষ্কার বিতরণী এলাকা ছাড়তে পারেন তিনি।