রাজধানীর কাঁঠাল বাগানে ভবন নির্মাণের সময় রাস্তা ধসের ঘটনায় শুক্রবার সকালে আরও একাশং ধসে পড়ার পর আশপাশের এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। ওই এলাকা থেকে বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মানুষজনকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলেছে ফায়ার সার্ভিস।
রাজধানীর পান্থপথের পাশে কাঁঠাল বাগান এলাকায় সুন্দরবন হোটেল ঘেষা রাস্তায় শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস দেখা দেয়।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের ভবন নির্মাণের পাইলিং চলার সময় বুধবার ভোরের দিকে রাস্তার একাংশ ধসে ফুটপাতে থাকা কয়েকটি দোকান ভেঙে পড়ে। নিচ থেকে বালি সরে গিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়ে তিন তারা হোটেল সুন্দরবনসহ আশপাশের এলাকা।
বৃহস্পতিবার রাতে আবার রাস্তার আরও কিছু অংশ ধসে পড়ে। নিরাপত্তায় তৎপরতা বাড়ে কর্তৃপক্ষের।
ওই এলাকার উত্তর-পূর্ব কোণ ধসে শুক্রবার সকালে ভেঙে পড়ে রাস্তার পাশের কিছু বিল বোর্ড। সেখানে ভারি যানবাহন নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিল বোর্ডগুলো সরাতেও পারেনি সিটি কর্পোরেশন। বন্ধ হয়ে যায় পান্থপথের একপাশ দিয়ে যান চলাচল।
ধস ঠেকাতে বালি ফেলার গতি বাড়াতে না পারলেও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, সম্ভব সব কিছুই করছেন তারা।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের যে কর্মকর্তা, তাদের সঙ্গে উদ্যোগ নিয়েই আমরা বালি ফেলছি। আমরা রাতদিন কাজ করে চলেছি।
বালি ফেলায় দায়িত্বহীনতার অভিযোগে ব্যাংক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে থাকা ডিসিসি উত্তরের মেয়র আনিসুল হক।
আশপাশের হোটেল, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পশ্চিম পাশের এলাকাকেও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে ডিসিসি।