জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা কাঁচি প্রতীকের মিছিলে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা বাঁশ ও কলাগাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৪০ মিনিট ওই সড়কের উভয় পাশে সকল ধরনের যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ-বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার কিছু আগে জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের জামালগঞ্জ পাঁচমাথা মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্ষেতলাল উপজেলার চৌমুহনী বাজারে কাঁচি প্রতীকের পথসভায় আক্কেলপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের কর্মী-সমর্থকরা ভ্যানযোগে মিছিল নিয়ে ওই পথসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি সন্ধ্যার কিছু আগে জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের জামালগঞ্জ পাঁচমাথা সড়কের মোড়ে পৌঁছুলে সেখানে নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা কাঁচি প্রতীকের মিছিলে হামলা করেন। এতে কাঁচি প্রতীকের ৩-৪ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। এসময় ফাঁকাগুলোর শব্দও শোনা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর প্রতিবাদে কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা জয়পুরহাট-আক্কেলপুর সড়কের ইটভাটার সামনে বাঁশ ও কলাগাছ ফেলে সড়কের ওপর বসে পড়েন। এ সময় প্রায় ৪০ মিনিট সড়কের দু’পাশের যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ-বিজিবি আসার পর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে সড়কের অবরোধ তুলে নেয়া হয়। পরে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরের চাচাত ভাই রেজোয়ান চৌধুরী বলেন, ক্ষেতলালের চৌমুহনী বাজারে আমাদের কাঁচি প্রতীকের পথসভা ছিল। আমরা ভ্যানযোগে মিছিল নিয়ে ওই পথসভায় যাচ্ছিলাম। পথে জামালগঞ্জ পাঁচমাথায় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা রুকিন্দীপুর ইউপি সদস্য বিপুল চন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলে সশস্ত্র হামলা করে। এতে আমাদের ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এঘটনায় আমরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করেছি। পুলিশ এসে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়েছি।
রুকিন্দীপুর ইউপির সদস্য বিপুল চন্দ্র ঘোষ কাঁচি প্রতীকের মিছিলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১০০ থেকে ১৫০ জন লোকজন রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করেন। এরপর তারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে যাচ্ছিলেন। এসময় কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে ভ্যানযোগে যাচ্ছিল। আমরা নৌকার স্লোগান দিচ্ছিলাম। সেই সময় কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এতে আমাদের কয়েক জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, কাঁচি প্রতীকের মিছিলে হামলা করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করেছিল। পুলিশ যাওয়ার পর কাঁচি প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা সড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছেন।