লাগামহীন হয়ে পড়ছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে ঝাল জাতীয় এই পণ্যটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। প্রায় ৪ মাস ধরেই চড়া দামে বিক্রি হয়ে আসছে মরিচ। এছাড়াও অধিকাংশ সবজির দাম ১০০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দামের এই চিত্র জানা গেছে।
বাজারে ভালো মানের ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর আংশিক পচা বা লাল হয়ে যাওয়া ২৫০ গ্রাম মরিচের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। অর্থাৎ এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা।
কারওয়ানবাজারে কাঁচামরিচের এই দাম শুনে হতাশ হলেন রহমান নামের একজন ক্রেতা। তিনি বলেন, আকাশ ছুঁয়েছে মরিচের দাম। গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় ২৫০গ্রাম মরিচ কিনেছি। সপ্তাহ ঘুরতেই দাম বেড়ে এখন দ্বিগুণ। বাজারে সবকিছুর দামে আগুন। সরকারের উচিত বাজারে মনিটরিং বাড়ানো।
কাঁচামরিচের দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। যে কারণে জুলাই মাস থেকেই কাঁচামরিচের দাম চড়া। এখন বৃষ্টিতে গাছ মরে যাচ্ছে। এছাড়া আড়তে আসার আগেই ট্রাকে অনেক মরিচ পচে যাচ্ছে। এসব কারণে নতুন করে দাম আরো বেড়েছে।
শুধু মরিচ নয়, দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। শিম, পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, বরবটি ও উস্তাসহ কয়েকটি সবজির কেজি ১০০ টাকার ওপরে। এছাড়া অন্যান্য সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার কাছাকাছি।
বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ দাম উঠেছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। ৫ টাকা বেড়ে ডিমের দাম হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
স্বস্তি নেই পেঁয়াজেও। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিও ৮০ টাকা।
হাতিরপুল বাজারে সবজির দাম দেখে হতাশা ব্যক্ত করে শারমিন নামের একজন গৃহিণী বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম অস্বাভাবিক। একের পর একটা জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। বরং করোনায় চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছে মানুষ। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, নিম্ন আয়ের মানুষদের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে।