কাদা মাটি তুলে ফেলে বসিয়েছেন সারি সারি ইট। তার ওপর দিয়েছেন শক্ত মাটি। ৯ ঘণ্টা খেটে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিজ এলাকার স্কুল মাঠে অনুশীলনের জন্য বানিয়েছেন উইকেট। যদিও তা থেকে ফায়দা নিতে পারছেন না পুরোপুরি। নিয়মিত ব্যাটিং করলেও অপর প্রান্তের মাটি নরম থাকায় বোলিং শুরু করতে পারছেন না ইনজুরি থেকে ফেরা টাইগার অলরাউন্ডার।
ফেনীতে প্রায়ই হচ্ছে বৃষ্টি। যে কারণে উইকেটের মাটি শক্ত হচ্ছে না মোটেও। টানা রোদ ছাড়া বোলিংয়ের জন্য উপযুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। যে উইকেট বানাতে এত খাটলেন, সেখানে আদৌ বোলিং করা যাবে কিনা; সেটি নিয়ে সংশয়ে জাতীয় দলের এ পেসার।
‘আজ চার ঘণ্টার মতো ব্যাটিং করেছি। কিন্তু বোলিং শুরু করতে পারছি না। বোলিং প্রান্ত শুকায়নি। ঈদের পর বিসিবি ডাকলে হয়ত ঢাকায় চলে যাব। তার আগে কয়েকটা দিন যদি এখানে বোলিং করতে না পারি খুব আক্ষেপ থেকে যাবে। পর্যাপ্ত রোদ যেন মাঠ পায় সে দোয়াই করছি এখন।’
‘ছোটবেলায় যেভাবে আমরা নিজেরা উইকেট বানাতাম, সেরকম আনন্দ নিয়েই বোলিং প্রান্তের উইকেট বানিয়েছি। এলাকার আরও কিছু খেলোয়াড় ছিল সবাইকে নিয়েই কাজটা করেছি। প্রথম দিন ৩ ঘণ্টা, পরের দিন ৬ ঘণ্টা টানা কাজ করেছি আমরা।’
ফেনীর পাইলট হাই স্কুল মাঠের সঙ্গে সাইফউদ্দিনের বন্ধুত্ব ছোটবেলা থেকেই। বাসা থেকে মাঠের দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথ। এখানে খেলে পেয়েছেন ক্রিকেটার হওয়ার দিশা। ছুটিতে গ্রামে গেলে এই মাঠেই কাটে তার সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা।
করোনাকালেও প্রিয় মাঠের প্রতি ভালোবাসা কাজ করছে। দীর্ঘদিন ঘরে কাটানো সাইফউদ্দিন মাঠে নেমেছেন নিজেকে প্রস্তুত করার মিশন নিয়ে। ঘরবন্দি থাকাকালীন ট্রেডমিলে দৌড়ে ওজন কমিয়েছেন চার কেজি। এখন নেমে পড়েছেন স্থানীয় মাঠে।
‘ছোটবেলা থেকেই মাঠ আমাকে টানে। মাঠে থাকতেই বেশি ভালো লাগে। যখন যেখানে থাকি চেষ্টা করি মাঠে কিছু না কিছু করতে। এতেই আমার ভালো লাগা। এখন যেহেতু সময়টা ভালো নয় তাই নিজেকে নিরাপদ রেখে, সাবধানতা অবলম্বন করে যতটা কাজ করা যায় করছি।’