দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। টুর্নামেন্ট মাঝপথে গড়ানোর পরই ছিটকে যাওয়ার অবস্থা। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টেবিলের সেরা চারে ঢুকে পড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বুধবার কলকাতার বিপক্ষে ১০২ রানের বিশাল জয়ে মাঠ ছেড়েছে রোহিত শর্মার দল।
মোস্তাফিজুর রহমানকে এদিনও একাদশের বাইরে রাখে দলটি।
১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন চারে মুম্বাই। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্টে রান ব্যবধানে পিছিয়ে পাঁচে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ ম্যাচ করে খেলে ১৬ পয়েন্টে শীর্ষে সাকিবদের হায়দরাবাদ, ১৪ পয়েন্টে দুইয়ে চেন্নাই, আর ১২ পয়েন্টে তিনে পাঞ্জাব।
ঘরের মাঠে কেকেআর এদিন শুরুতে চেপে ধরেছিল মুম্বাইকে। ১৭ বলে ফিফটি করা ইশান কিষান রানের লাগামটা বাড়িয়ে দেন। তাতে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ২১০ রানের পুঁজি পায় ইন্ডিয়ান্সরা। জবাবে ১৮.১ ওভারে ১০৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় কেকেআর।
ইশান কিষান শেষপর্যন্ত ২১ বলে ৬২ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন। ৫ চার ও ৬ ছক্কার ইনিংস ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়া বাঁহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের। ছুঁয়েছেন আইপিএলের চতুর্থ দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
বাকিদের মধ্যে রোহিত শর্মা ৩১ বলে ৩৬, সূর্যকুমার যাদব ৩২ বলে ৩৬, এভিন লুইস ১৩ বলে ১৮, হার্দিক পন্ডিয়া ১৩ বলে ১৯, বেন কাটিং ৯ বলে ২৪ এবং ক্রুনাল পান্ডিয়ার ২ বলে অপরাজিত ৮ রানে মুম্বাই দুইশ ছাড়িয়ে যায়।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইন্ডিয়ান্স বোলারদের সম্মিলিত ঝড়ের মুখে পড়ে নাইটরা। হাত ঘুরানো ছয় বোলারই উইকেট পেয়েছেন। ২টি করে হার্দিক ও ক্রুনালের দখলে। একটি করে ম্যাকক্লেনেঘান, বুমরাহ, মার্কান্দে ও কাটিংয়ের ঝুলিতে। উইকেট নেয়ার পাশাপাশি রান খরচেও কিপটে ছিলেন সকলে।
তাতে হাঁসফাঁস করে কেকেআরের পাঁচ ব্যাটসম্যান দুঅংকের কোটা ছুলেও কেউ ২১ পেরোতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২১ করে এসেছে ক্রিস লিন ও নিতিশ রানার ব্যাটে।