কর ফাঁকির অভিযোগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ ছিল। সেটি প্রমাণিত হওয়ার পথে আরেকধাপ এগোল। কর ফাঁকির অভিযোগে রোনালদোর বিপক্ষে যে মামলা করেছেন স্পেনের সরকারি কৌসুলিরা।
অভিযোগ ১ কোটি ৪৭ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়টাতে এই ফাঁকির আশ্রয় নিয়েছেন সিআর সেভেন।
ফুটবলের আরেক মহাতারকা লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার। রোনালদো সেই পরিমাণটা শুধু টপকেই গেলেন না। প্রায় সাড়ে তিনগুণ বেশি কর ফাঁকির জেরে মামলায় জড়ালেন।
কর কর্তৃপক্ষের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, রোনালদো অভিযুক্ত বছরগুলোতে যথাক্রমে ১৪ লাখ, ১৭ লাখ, ৩২ লাখ এবং ৮৫ লাখ ইউরো করে কর ফাঁকি দিয়ে এসেছেন। ২০১০ সালে রিয়াল তারকা একটি ব্যবসায়িক কাঠামোর আশ্রয় নিয়ে ‘ইমেজ স্বত্ব’র মাধ্যমে আয় লুকিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন।
কদিন আগেই ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্রীড়াবিদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন রোনালদো। ফাঁকির সব অভিযোগ অস্বীকার করেও এখন আর ভোগান্তি এড়াতে পারছেন না সিআর সেভেন।
মেসি অভিযোগের মুখে পড়ার পর ৫১ লাখ ইউরো কর দিয়েও মুক্তি পাননি। স্প্যানিশ আদালত তাকে ২১ মাসের জেল দেয়। যদিও দেশটির আইনে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছাড়া প্রথমবার কেউ দুবছরের কম সাজা পেলে তাকে জেলে যেতে হয় না। মেসিকেও যেতে হয়নি। এখন দেখার তার প্রায় সাতে তিনগুণ কর ফাঁকি জন্য রোনালদোর কপালে কি অপেক্ষা করছে।