চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কর্মজীবনে ভারসাম্যে আদর্শ শহর ‘অসলো’, বেশি চাপ ‘দুবাই’ শহরে

কর্মজীবনের ভারসাম্যের জন্য আদর্শ শহর ‘অসলো’ আর কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি ‘দুবাই’ শহরে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল বুধবার মোবাইল অ্যাক্সেস প্রযুক্তি কোম্পানি কিসি’র প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে৷

কাজের তীব্রতা এবং শহরের বসবাসযোগ্যতার পাশাপাশি মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা, জীবনযাত্রার সাশ্রয়ী মূল্য এবং পর্যাপ্ত অবকাশ সময়ের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে।

এ তালিকায় কর্মজীবনে ভারসাম্যের জন্য তিন নম্বরে থাকা হেলসিঙ্কিতে একজন সাধারণ কর্মী প্রতি বছর পুরো মাস বেতনসহ ছুটি পায়, আর লস অ্যাঞ্জেলেসে কর্মীদের এই ছুটির সময় মাত্র এক সপ্তাহ।

অনেকের জন্যই এই মহামারি তাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে এবং নতুন শহরে স্থানান্তরের মতো বড় বিষয়গুলোকে বিবেচনার নতুন সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ এই মহামারিতে পরিবর্তিত হয়েছে শ্রম বাজারও, যে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরায় অফিসে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনাগুলো ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে৷

কর্মচারীরা অফিসে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রতিরোধ করছে, তবে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে অনেকেই প্রস্তুত। যে কারণে এয়ারবিএনবি’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার বাজারে মেধাবী কর্মীদের ধরে রাখতে বাড়ি থেকে স্থায়ী কাজের সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে কিছু আর্থিক এবং কর্পোরেট হাব যেগুলো দীর্ঘকাল ধরে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল তাদের র‍্যাঙ্কিংও এবার নিচে নেমে গেছে।

নিউইয়র্ক সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০ টি শহরের মধ্যে চলতি বছর ৩৮ থেকে ৫৯ এ নেমে এসেছে এবং ২০১৯ সালে মহামারির আগে এটি ছিলো ২১ নম্বরে। লন্ডন যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ র‍্যাঙ্কিং এ অবস্থান করেছে, তা সত্ত্বেও চলতি বছরে ২০ থেকে নেমে ২৭ এ চলে এসেছে, যা ২০১৯ সালে ১২ তম অবস্থানে ছিল।

কিসি ১৩০ টিরও বেশি ডেটা পয়েন্ট- যার মধ্যে ছিলো, কাজের তীব্রতা, অধিকার এবং কর্মীদের কল্যাণ পরিমাপ করার জন্য অতিরিক্ত কাজের হার, স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস এবং সুরক্ষা মেট্রিক্স এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে ৫১টি মার্কিন মেট্রো অঞ্চল এবং বিশ্বের ৪৯ টি প্রধান শহর নিয়ে অধ্যয়ন করে।

কিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্নহার্ড মেহল বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলো বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের জন্য সমর্থনমূলক কাঠামো বিবেচনা করতে দেখা যায়।’

মহামারির কারণে সৃষ্ট চাপ এবং ব্যাঘাত যা ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে এখনো চলমান রয়েছে এর ধাক্কা আগামী কয়েক বছরেও তা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন তিনি।