চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কর্তৃপক্ষের ভুলে অনিশ্চিত শিক্ষাজীবন

শরীয়তপুরের জাজিরা বিকে নগর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের ভুলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৪০ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ভবিষৎ। ২০১৪ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়ায় অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

শরীয়তপুর জাজিরা বিকে নগর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ ভেন্যুতে পরীক্ষা দিতে এসে বিড়ম্বনার কবলে পরীক্ষার্থীরা।

২০১৬ সালের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৪’র সিলেবাস অনুযায়ী রসায়ন বিষয়ের বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয় তাদের। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিন স্কুলের ৪০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরাও।

শিক্ষার্থীরা বলছে, পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও তারা জানতেন না, ২০১৪ সালের সিলেবাস এটা। বাসায় গিয়ে প্রশ্নপত্র মিলাতে গিয়ে তারা বের করে। এই পরীক্ষা সিলেবাস অনুযায়ী না হওয়ায় পরীক্ষার খারাপ হয়েছে এবং ওই ধারাবাহিকতায় পরের পরীক্ষাগুলোয় তাদের খারাপ হয়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাই পরীক্ষার্থীদের যেন রেজাল্ট বিপর্যয় না ঘটে।

ভুল ধরা পরার পর কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি ভুলবশত: হলেও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানান কেন্দ্র সচিব।

প্রত্যাহার হওয়া কেন্দ্র সচিব ও বিকেনগর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরই আমি উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করি উনি আমায় আশ্বাস দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতির মুখোমুখি হবে না।

সমস্যা সমাধানে শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ ও জোর চেষ্টার কথা জানান স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা এস এস সি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন প্রশাসন জানার পরেই শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে যাতে ৪০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন নষ্ট না হয়।

ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছেন বিকে নগর পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের ২৩ জন, নাওডোবা আমজাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জন ও লাউখোলা এ এস উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন পরীক্ষার্থী।