করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন বিশ্বের বহু দেশে ইতোমধ্যেই বিস্তার লাভ করেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে করোনা মোকাবিলায় ‘হার্ড ইমিউনিটি’ পদ্ধতি অবলম্বন করা একপ্রকার বোকামি হবে বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথান।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হার্ড ইমিউনিটির মাধ্যমে করোনা মোকাবেলা করা একদিকে যেমন বোকামির কাজ হবে, অপরদিকে এর জন্য বিভিন্ন দেশকে চরম মূল্য দিতে হবে।
‘‘হার্ড ইমিউনিটি হলো যখন একটি এলাকার বেশিরভাগ মানুষকে কোন একটি সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক দেয়া হয় তখন ওই এলাকায় ওই রোগটির ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ ওই এলাকায় আর সংক্রমিত হওয়ার মতো মানুষই থাকে না।
তবে প্রতিষেধক দেয়া না হলে হার্ড ইমিউনিটি সেখানে খুব একটা কাজ করে না। এছাড়া একটি কমিউনিটির মধ্যে বেশিরভাগ সদস্যকে প্রতিষেধক দেয়া না হলেও এটা কাজ করবে না। উল্টো রোগটি ছড়িয়ে পড়বে খুব তাড়াতাড়ি।’’
ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তিনি বলেন, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.২ বিএ.১ থেকে বেশি শক্তিশালী এবং এর ট্রান্সমিশন সক্ষমতা ও অন্যান্য সাব ভ্যারিয়েন্ট থেকে বেশি। এটি বেশ কিছু দেশে চাপ সৃষ্টি করছে বিশেষ করে ভারত ও ডেনমার্কে।
ড.স্বামীনাথান বলেন, ওমিক্রন একটি নতুন ধরণ, তাই এখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর প্রভাব সর্ম্পকে কোনও মন্তব্য করতে চায় না।